লখনউ: শুধুমাত্র বিয়ের জন্য ধর্ম পরিবর্তন কোনও ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়৷ শনিবার একটি মামলার রায়ে এমনটাই জানাল এলাহাবাদ হাইকোর্ট৷ বিয়ের পর পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল এক নব বিবাহিত দম্পতি৷ মাত্র তিন মাস আগেই বিয়ে হয়েছে তাঁদের৷ কিন্তু এদিন তাঁদের আবেদন খারিজ করে দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট৷
আরও পড়ুন- ভারতের ইতিহাসে প্রথম মহিলা CEO পেল ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স
আবেদনকারী ওই মহিলা জন্মসূত্রে মুসলিম৷ বিয়ের জন্য তিনি হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেন৷ ২৩ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মহেশ চন্দ্র ত্রিপাঠীর সিঙ্গেল বেঞ্চ ওই দম্পতির রিট পিটিশন খারিজ করে দেয়৷ ওই দম্পতির আবেদন ছিল, ‘বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা’ গ্রহণ করে আত্মীয়স্বজনরা যাতে তাঁদের বিবাহিত জীবনে কোনও রকম হস্তক্ষেপ করতে না পারে, সেই ব্যবস্থা করুক আদালত৷ আবেদনে ওই দম্পতি জানিয়েছিলেন তাঁরা চলতি বছরের জুলাই মাসেই বিয়ে করেন। এও অভিযোগ করেন যে, বিয়ের পরেও পাত্রীর বাবা তাঁদের জীবনে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছেন৷
তার প্রেক্ষিতেই বিচারপতি মহেশ চন্দ্র ত্রিপাঠী এ দিন বলেন, ‘‘আবেদনকারী মহিলা ২০২০ সালের ২৯ জুন নিজের ধর্ম পরিবর্তন করেন৷ এর ঠিক এক মাস পর ৩১ জুলাই বিয়ে করেন। যা থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে বিয়ের উদ্দেশ্যেই ধর্ম পরিবর্তন করেছেন তিনি৷’’ এই মামলার রায় ঘোষণার সময় ২০১৪ সালে নূর জাহান বেগম মামলার প্রসঙ্গও তুলে ধরে আদালত৷ ওই মামলার রায়েও এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়েছিল, শুধুমাত্র বিয়ের জন্য ধর্মান্তর মেন নেওয়া যায় না৷
আরও পড়ুন- জন্ম থেকেই নেই ২টি হাত, প্রতিকূলতাকে হারিয়ে আজ গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে জিলুমল
সেই সময় নুর জাহান বেগম মামলায় বলা হয়ছিল, একটি হিন্দু মেয়ে ইসলাম সম্বন্ধে কোনও জ্ঞান, বিশ্বাস ও ভক্তি না থাকার পরেও, কেবল মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করার জন্য ধর্ম পরিবর্তন করাকে বৈধতা দেওয়া যায় না৷ মুসলিম ধর্মগ্রন্থ কোরানের সাহায্য নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়েছিল, এই ক্ষেত্রে বিয়ের জন্য ধর্মপরিবর্তন গ্রহণযোগ্য নয়। এই ধরনের বিয়ে কোরান বিরোধী৷ এই মামলার শুনানিতেও সেই রায়ই তুলে ধরল আদালত। তাঁদের আবেদনও খারিজ হয়ে গিয়েছে৷ আদালত অবশ্য জানিয়েছে, ওই দম্পতি চাইলে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নিজেদের বক্তব্য রাখতেই পারে৷ প্রশাসন তাঁদের সাহায্য করলে, সেখানে আদালত কোনও হস্তক্ষেপ করবে না৷