নয়াদিল্লি: ভারতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির উপর কড়াকড়ি, সমাজকর্মীদের গ্রেফতার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিষয়ক হাই-কমিশনার মিশেল বাশেলে। তিনি বলেন, এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সমাজকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকেন৷ তাঁদের অধিকার সুরক্ষিত করা হোক৷ এর জবাবে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘ভারত আইনের শাসন ও স্বাধীন আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিত রাষ্ট্র৷ আইন প্রণয়নের বিষয়টি অবশ্যই সার্বভৌম। মানবাধিকার নামে আইন লঙ্ঘন চলে না। বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ বিল নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জ কিছু মন্তব্য করেছে৷ আশা করব এ বিষয়ে সবিস্তারে জানার পরই মন্তব্য করা হবে৷’’
আরও পড়ুন- ফেব্রুয়ারির মধ্যেই করোনা আক্রান্ত হতে পারেন ৫০% মানুষ: রিপোর্ট
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ বিল এনে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির বিদেশি অনুদান সংগ্রহের উপর বেশ কিছু কড়াকড়ি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রসঙ্গে বাশেলে বলেন, ‘‘ভারতের শক্তিশালী নাগরিক সমাজ রয়েছে। শুধু দেশে নয় সারা বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার কর্মসূচিতে তাঁরা সামনের সারিতে রয়েছেন। কিন্তু অস্পষ্ট আইন ধীরে ধীরে তাদের কণ্ঠ রুদ্ধ করছে।’’ বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ বিল-কে উদ্বেগজনক বলেও উল্লেখ করেন বাশেলে৷ তিনি বলেন, এই বিল জনস্বার্থের জন্য পূর্বনির্ধারিত কোনও কর্মকাণ্ডের উদ্দেশে বিদেশি অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে৷
আরও পড়ুন- লকডাউন গেলেও ভাইরাস যায়নি, উৎসবের মরশুমে দেশবাসীকে সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী
সংশোধিত বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ বিল অনুযায়ী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আধিকারিকদের আধার নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করাটা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ এছাড়াও এই আইন অনুসারে বিদেশি অনুদান প্রাপ্ত কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংঠন প্রশাসনিক ব্যয় হ্রাস করার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ বলা হয়েছে, অনুদানের ৫০ থেকে ২০ শতাংশ বছরে মূল লক্ষ্যগুলির জন্য ব্যয় করতে হবে৷ এই আইনে সমাজসেবীদের কণ্ঠরোঠ করা হচ্ছে বলে বাশেলে অভিযোগ তুললেও ভারত তা নামতে নারাজ৷ অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, এই আইন কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের বিরুদ্ধে নয়৷ স্বচ্ছ্বতা আনার জন্যই সংশোধন করা হয়েছে৷