দেরাদুন: তলিয়ে যেতে চলেছে উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠ। বিগত কয়েকদিনেই অধিকাংশ জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। ভাঙতে শুরু করেছে রাস্তা, বাড়ি, হোটেল। ইতিমধ্যেই ৭০০-র বেশি পরিবারকে অন্যত্র সরানো হয়েছে। তবে নতুন করে আরও অনেক বাড়িতে ফাটল দেখা দেওয়ায় আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অবস্থায় হোটেল এবং একাধিক বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু করতে চেয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু স্থানীয়দের বিক্ষোভের জেরে তা সম্ভব হয়নি। কারণ দাবি উঠেছিল ক্ষতিপূরণের। হোটেল মালিক থেকে শুরু করে অধিকাংশ স্থানীয়রা সরকারের থেকে ক্ষতিপূরণ চেয়েছিল ভিটেমাটি ছেড়ে যাওয়ার জন্য। অবশেষে সেই ক্ষতিপূরণের ঘোষণা হল।
আরও পড়ুন- চার বছরে উপছে পড়েছে ভাণ্ডার! হিরো আলমের সম্পত্তির পরিমাণ জানেন?
উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে জানান হয়েছে, যে সমস্ত পরিবারগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যাদের বাড়িতে ফাটল ধরেছে, তাদের প্রাথমিক ভাবে দেড় লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি যে সমস্ত বাড়ি ও হোটেলগুলিতে বড়সড় ফাটল ধরা পড়ায় তাদের বিপজ্জনক হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে তাদের আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই ভেঙে ফেলা হবে। যদিও হোটেল মালিকরা এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারেননি ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে। তাদের বক্তব্য, আগে ক্ষতিপূরণের নিশ্চিত করতে হবে, তারপর বাড়ি ভাঙতে দেওয়া হবে। যদিও সরকারের তরফে জানান হয়েছে, হোটেল পুরোপুরি না ভেঙে ফাটলের অংশ সারিয়ে তা পুনর্নির্মাণ করা হবে। আর এই বিষয়ে হোটেল মালিকদের সঙ্গে কথাও হয়েছে।
এই ক্ষতিপূরণের দাবি নিয়েই বড় হুঙ্কার দিয়েছিলেন এক হোটেল মালিক। দাবি করা হয়েছিল প্রশাসনকে যদি হোটেল ভাঙতে হয় তবে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আর যদি তা না হয় তাহলে তিনি গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করবেন। এই হোটেল মালিক ছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশও তাদের বসতবাড়ি ভাঙতে দিচ্ছিল না সরকারকে। কাজ করতে এলে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছিল। বাড়ি ভাঙার পর তাঁদের কী হবে, এই প্রশ্নের জবাব তারা পাচ্ছিল না প্রশাসনের থেকে। এবার কি জোশীমঠ শান্ত হবে?