৮০ ফুট গভীর গর্তে ১০৪ ঘণ্টার লড়াই! সঙ্গী শুধু একটা সাপ আর ব্যাঙ

৮০ ফুট গভীর গর্তে ১০৪ ঘণ্টার লড়াই! সঙ্গী শুধু একটা সাপ আর ব্যাঙ

রাইপুর: ৮০ ফুট গভীর অন্ধকার কুয়োয় ১০৪ ঘণ্টার লড়াই৷ সঙ্গী বলতে একটা সাপ আর একটা ব্যাঙ৷ এক হাড়হিম করা অনুভূতি৷ প্রতিটি মুহূর্ত এক রুদ্ধশ্বাস লড়াই৷ দিন রাত এক করে সেই গভীর কুয়ো থেকে ১১ বছরের বালক রাহুল সাহুকে উদ্ধার করল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী৷ 

আরও পড়ুন- দেশে প্রতি মানুষের গড় আয়ু কমছে ৫-৭ বছর করে! হঠাৎ কী কারণ

গত শুক্রবার ৮০ ফুট গভীর ওই কুয়োর মধ্যে পড়ে গিয়েছিল রাহুল৷ এর পর থেকে শুরু হয় উদ্ধার কাজ৷ কিন্তু তাকে সেখান থেকে বের করে আনাটা মোটেই সহজ ছিল না৷ ওই কুয়োর সমান্তরালে ১৫ ফুট দীর্ঘ একটি সুড়ঙ্গ তৈরি করে উদ্ধারকারী দল৷ মঙ্গলবার গভীর রাতে অবশেষে ওই বালককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়৷ 

উদ্ধারকারীরা জানাচ্ছেন, ৮০ ফুট নীচে একদিকে যেমন অক্সিজেনের অভাব৷ তেমনই সাপের কামড়েও মৃত্যু হতে পারত ওই বালকের৷ একটি ছোট্ট পরিসরে জমাট বাধা অন্ধকার৷ তার মধ্যেই সাপ-ব্যাঙ আর মানুষের সহাবস্থান৷ প্রতিটি মুহূর্তে বিপদের পদধ্বনি৷ যখন তখন ঘনাতে পারত মৃত্যু৷ তবু হার মানেনি ছোট্ট ছেলেটা৷ কয়েক সেকেন্ড বা মিনিট নয়৷ লড়াই চালিয়ে গিয়েছে ১০৪ ঘণ্টা৷ 

খবরটি শুনেই শিউড়ে ওঠেন জেলাশাসক জিতেন্দ্র শুক্ল৷ তবে কুয়োর ভিতরে যে রাহুলের সঙ্গে আর দু’জন ঘাপতি মেরে রয়েছে সেই খবরটি প্রকাশ্যে আনেননি তিনি। কারণ, একথা শুনলে আরও বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়ত রাহুলের পরিবার৷ কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে, ওই ছোট্ট পরিসরে থেকেও কেউ কারও কোনও ক্ষতিই করেনি। এই ঘটনা শোনার পর  অনেকেই বলছেন এটা ‘চমৎকার’৷ 

প্রায় সাড়ে চার দিন টানা চেষ্টা চালিয়ে রাহুলকে কুয়ো থেকে উদ্ধার করার পর যেন হাঁফ ছেড়ে বেচেছে গোটা ছত্তীশগঢ়। গত চার দিন ধরে তাঁর জন্য প্রার্থনা করেছে গোটা রাজ্যের মানুষ। রাহুলের উদ্ধারের পর মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল টুইট করে বলেন, ‘আমাদের ছেলে খুবই সাহসী। ১০৪ ঘণ্টা ওর সঙ্গী ছিল একটি সাপ এবং একটি ব্যাঙ। আজ দারুণ খুশি গোটা ছত্তীশগঢ়৷’