গান্ধীনগর: উপলক্ষ্য ছিল রামনবমী। তবে সেই মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হল গুজরাত। মিছিলে পাথর ছোড়া হয়েছে এই অভিযোগ তোলা হয়। তার প্রেক্ষিতেই রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হিম্মতনগর এবং খামভাতে বলে দুটি এলাকা। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আসলে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা দিয়ে রাম নবমীর মিছিল যাওয়া নিয়েই বাদানুবাদের সৃষ্টি হয় বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: নাবালিকাকে ধর্ষণ তৃণমূল নেতার ছেলের! রাতভর রক্তক্ষরণে মৃত্যু! শ্মশানে গিয়ে তথ্য লোপাটের চেষ্টা
গান্ধীনগর থেকে ৭০ কিমি দূরে হিম্মতনগর এবং ১২৫ কিমি দূরে খামভাতে এলাকা মুসলিম অধ্যুষিত। সেখান থেকে রামনবমীর মিছিল যাওয়ার সময়ে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। সেখান থেকেই ‘সাম্প্রদায়িক সংঘাত’ শুরু হয় বলে খবর। খামভাতে সংঘর্ষের জেরে এক বৃদ্ধ প্রাণ হারিয়েছেন বলেও সূত্রের খবর। যদিও রাজ্যের ডিজিপি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে আগে এলাকার অবস্থা যে দিকে বাঁক নিয়েছিল তাতে আরও বড় রকমের ঘটনা ঘটতে পারত বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আসলে, রামনবমীর মিছিলে পাথর ছোড়ার পর ওই এলাকায় ব্যাপক তাণ্ডব শুরু হয়। দোকান-পাট ভাঙচুর পর্যন্ত করা হয়েছে। দুই পক্ষই একে অপরের দিকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ছিল বলে জানা গিয়েছে। পরে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য।
তবে এই সংঘর্ষ শুরু সাধারণ মানুষ নন, আক্রান্ত হয়েছে পুলিশও। জানান হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চার কোম্বানি রাজ্য রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সকে মোতায়েন করা হয় সেই জায়গাগুলিতে। সেই সময় তিনজন পুলিশ আধিকারিক জখম হয়েছেন বলে খবর। তবে কারোর অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল না। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।