কৃষ্ণনগর: নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলের বিরুদ্ধে৷ ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদিয়ার হাঁসখালি থানার গাজনা পঞ্চায়েত এলাকার। বাসিন্দাদের অভিযোগ, শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্যের জন্মদিনের পার্টিতে কুকীর্তি৷ ধর্ষণের জেরে তীব্র রক্তপাত হয় নাবালিকার৷ তারই জেরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ওই নাবালিকা৷ অভিযোগ, প্রমাণ লোপাটের জন্য পরিবারকে হুমকি দেখিয়ে শব দাহ করে ফেলা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামনগর এলাকার বাসিন্দা তথা তৃণমূলের দাপুটে পঞ্চায়েত সদস্য অশোক বিশ্বাস। ৫ এপ্রিল ওই গ্রামের তৃণমূল পঞ্চায়েতের সদস্যর ছেলে ব্রজর জন্মদিন ছিল। সেই কারণেই সন্ধ্যায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ পেয়ে অংশগ্রহণ করেন বছর চোদ্দোর ওই নাবালিকা। রাতে এক মহিলা ওই নাবালিকাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। এবং তিনি তার বাড়িতে এসে ওই নাবালিকার শারীরিক অসুস্থতার কথা জানাই। অভিযোগ ওই মহিলা হুমকি দেয় এ বিষয়ে অন্য কাউকে জানালে কিংবা সরকারি হাসপাতালে গেলে তাদের ওপর আক্রমণ করা হতে পারে।
এরপর ভোরের দিকে ওই নাবালিকার তীব্র যন্ত্রণা শুরু হয় এবং গোপনাঙ্গে রক্তপাত ঘটতে থাকে। তখন নাবালিকার পরিবারের লোকজন তাকে স্থানীয় একটি কোয়াক ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। এরপর সকালে ওই নাবালিকার মৃত্যু হয়। অভিযোগ এর পরে ওই এলাকায় তৃণমূলের কিছু প্রভাবশালী লোকজন এসে স্থানীয় একটি শ্মশানে তড়িঘড়ি দাহ করে দেওয়া হয়। যাতে প্রমাণ না পাওয়া যায় সেই কারণে জল ঢেলে পরিষ্কার করে দেওয়া হয় শ্মশানের ছাইই গুলি। প্রথমে ভয় কিছু না জানাতে চাইলেও গতকাল পরিবারের তরফ থেকে ওই তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য এবং তার ছেলে ব্রজর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় হাঁসখালী থানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে তৃণমূল পঞ্চায়েতের সদস্য ছেলে ব্রজ গোস্বামী গ্রেপ্তার হয়েছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।