নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও সতর্কতায় কোন ঢিলেমি না দিতে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য গুলিকে আবেদন জানিয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে করোনা সংক্রান্ত বিধি নিষেধে ছাড় দেওয়া হলেও নমুনা পরীক্ষা, করোনা আক্রান্তের চিহ্নিতকরণ, চিকিৎসা এবং টিকাকরণে গাফিলতি করা যাবে না বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় কুমার ভাল্লা জানিয়েছেন। রাজ্যের মুখ্যসচিবদের উদ্দ্যেশ্যে লেখা এক চিঠিতে তিনি বলেন, সংক্রমণের হার কমার সঙ্গে সঙ্গে বহু রাজ্যেই করোনা বিধিতে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে সরেজমিনে কোভিড পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তবেই যেন এধরণের ছাড় দিতে হবে। ছাড় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি ক্ষেত্রে করোনাবিধি মানা হচ্ছে কিনা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব সেদিকেও নজর দিতে বলেছেন।
অজয় ভাল্লা জানিয়েছেন, করোনা সংক্রান্ত বিধি নিষেধে ছাড় দেওয়া হলেও নমুনা পরীক্ষা, করোনা আক্রান্তের চিহ্নিতকরণ, চিকিৎসা এবং টিকাকরণে গাফিলতি করা যাবে না । মাস্ক পরা, স্যানিটাইজার ব্যবহার, শারীরিক দূরত্ব মানা সহ যাবতীয় কোভিড বিধিতে চিঠিতে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কোনও ছোট অঞ্চল বা এলাকায় সংক্রমণ বাড়লে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গাইডলাইন অনুযায়ী স্থানীয় কনটেইনমেন্ট জোন করা যাবে। একইসঙ্গে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং রাজ্যে টিকাকরণের গতি বাড়ানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।স্বরাষ্ট্রসচিব জানিয়েছেন, সংক্রমণ কমলেও নমুনা পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে কোনওরকম গাফিলতি করা যাবে। সংক্রমণের হার এবং সক্রিয় মামলার কেসের সংখ্যা বাড়ছে কিনা সেদিকেও নজর দিতে হবে।
আরও পড়ুন: নিম্নচাপ ও ঘূর্ণাবর্তের ‘সাঁড়াশি’ আক্রমণ! বৃষ্টি চলবে রাজ্যে
উল্লেখ্য, শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ হাজার ৭৫৩ জন। এই একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৬৪৭ জনের। সব মিলিয়ে দেশে মোট ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৯৮ লক্ষ ছাড়িয়ে গেল, এবং মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৮৫ হাজার ১৩৭ জন। এখন দেশে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৭ লক্ষ ৬০ হাজার ১৯ জন। ৭৪ দিন পর এতটা কম। দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় সক্রিয় রোগী পৌঁছে গিয়েছিল ৩৭ লক্ষের উপরে। সেখান থেকে কমতে কমতে এই সংখ্যা হয়েছে আজকে।