নয়াদিল্লি: প্রায় দেড় বছর আগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তৈরী হয়ে গিয়েছিল এবং তারপর থেকেই দেশজুড়ে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার নাগরিকত্ব আইন বলবৎ করতে ব্যাপকভাবেই তৎপর ছিল। কিন্তু আন্দোলনের আবহাওয়া আরো জটিল পরিস্থিতি ধারণ করার জন্য হোক কিংবা নির্বাচনের কারণ, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এখনো পর্যন্ত বলবত করতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এখনই নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ নিয়ে কিছু ভাবছে না কেন্দ্র, এদিন সংসদে এমনটাই জানিয়ে দিল অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
এদিন জানানো হল, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সংক্রান্ত নিয়ম, নীতি এখনো ঠিক করা হয়নি। এর জন্য আরো মাস ছয়েক সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেই কারণেই এই মুহূর্তে নাগরিকত্ব আইন বলবৎ করা হবে না বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিয়ম-নীতি ঠিক হয়ে গেলেই দেশজুড়ে চালু হয়ে যাবে সিএএ, এমনটাই স্পষ্ট করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এদিন সংসদে কংগ্রেসের তরফে জানতে চাওয়া হয় যে নাগরিকত্ব আইনের কাজ কতদূর এগিয়েছে এবং এর নিয়ম, নীতি সম্পর্কে কবে প্রকাশ করা হবে। কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ এই বিষয়ে প্রশ্ন করেন যার উত্তরে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিয়ম-নীতির সংক্রান্ত বিষয় জানাতে এখনো পর্যন্ত প্রায় ছয়েক সময় লাগবে। তাই ২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন- ব্রা নিয়ে ট্যাবু ভাঙার খেলায় মত্ত শ্রীলেখা, কালো স্ট্রাপ বার করেই বানালেন ভিডিয়ো
প্রসঙ্গত, এই আইন সম্পর্কে যবে থেকে কেন্দ্রীয় সরকার পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভেবেছে তবে থেকেই দেশজুড়ে একের পর এক বিক্ষোভ এবং আন্দোলনের ঘটনা ঘটেছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সৃষ্টি না হলে সেই আন্দোলন হয়তো এখনো পর্যন্ত সর্ব বৃহৎ আকার ধারণ করতো। কিন্তু আগের মত এখন রাস্তায় নেমে আন্দোলন না হলেও কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যে দেশের জনসাধারণের একাংশ রয়েছে তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের এই আইনে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পারসি এবং খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।