নয়াদিল্লি: ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পটি সূচনা হওয়ার পর থেকে এই প্রকল্পের আওতায় দুর্নীতি চলছিল তা আগে থেকে অনুমান করেছিলো গোয়েন্দা সংস্থা। সেই দুর্নীতির এবার পর্দা ফাঁস হল। জানা গিয়েছে, ভুয়ো অ্যাকাউন্টে প্রায় ২০০০ কোটি টাকা ভর্তুকি জমা পড়েছে। এই দুর্নীতির মূল অভিযুক্ত দিওয়ান হাউসিং ফাইন্যান্স লিমিটেড ডি এইচ এফ এল-এর দুজন প্রোমোটার, কপিল এবং ধীরাজ ওয়াধওয়ান। এদিন এই দুর্নীতির পর্দা ফাঁস করেছে সিবিআই।
জানা গিয়েছে, এই দুর্নীতির মূল দুই অভিযুক্ত দীর্ঘদিন ধরে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে হাজার হাজার কোটি টাকার গৃহঋণ দেখিয়ে ভর্তুকি বাবদ কেন্দ্রের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়েছে। সব মিলিয়ে সেই টাকার পরিমাণ প্রায় ২০০০ কোটি টাকা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, হোম লোন দেওয়ার ব্যবসা রয়েছে এ ডি এইচ এফ এল-এর। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সরকারি প্রকল্পের আওতায় বহু মানুষ তাদের থেকে গৃহ ঋণ নিয়েছে বলে দাবি করে তারা। মোট ১৪ হাজার কোটি টাকার গৃহ ঋণ নেওয়া হয় বলে জানায়। সেই প্রেক্ষিতে ১,৮৮০ কোটি টাকা তাদের ভর্তুকি প্রাপ্য। এই টাকারই দুর্নীতি হয়েছে।
আরও পড়ুন- সেই মমতাকে অনুকরণ? প্রচারে বেরিয়ে চা বানিয়ে খাওয়াচ্ছেন তনুশ্রী
গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ভর্তুকি হাসিল করার জন্য সরকারি নথিতে মুম্বাইয়ে একটি ভোট ঠিকানায় ডি এইচ এফ এল একটি অফিস খলে। দেখানো হয়, ২০০৭ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই অফিস থেকে ১৪,০০০ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করেছে তারা, যদিও পুরোটাই ছিল ভুয়ো। যে টাকা বিভিন্ন সংস্থায় জমা পড়েছে সেই সমস্ত সংস্থা কাল্পনিক বলেও জানা গিয়েছে এখন। প্রসঙ্গত, এই দুর্নীতি কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত কপিল এবং ধীরাজ আগে থেকেই জালিয়াতি এবং দুর্নীতির অভিযোগে জেল খাটছেন।