নয়াদিল্লি: করোনা আবহে বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারামন। অতিমারীকালীন পরিস্থিতিতে যে চরম আর্থিক দুর্দশার মুখোমুখি হয়েছিল গোটা দেশ, তা কাটিয়ে ফের অর্থনীতির চাকাকে সচল করাই ছিল বাজেটে কেন্দ্রের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। বিরোধীদের সমালোচনা সত্ত্বেও বাজেট তার দায়িত্ব পালন করেছে বলেই মনে করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- দীনেশ ত্রিবেদীর ইস্তফায় হতচকিত রাজনৈতিক মহল, বাংলা নিয়ে কী বললেন তিনি?
এদিন সংসদে বাজেট সংক্রান্ত আলোচনায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারামন বলেন, অতিমারী পরবর্তী অর্থনীতি যেভাবে বিশ্বের নানা দেশে বিপর্যস্ত হয়েছে ভারত তার তুলনায় অনেকটাই ভালো অবস্থায় রয়েছে। ২০২১ সালের বাজেট সেই করোনা পরবর্তী অর্থনীতিকে চাঙ্গা করারই একটি সফল উদ্যোগ। পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখার একটি “শক্তিশালী উদ্দীপক” হিসেবেই কাজ করবে এই বাজেট।
শুধু তাই নয়, নতুন আর্থিক বছরের বাজেটে যে কেন্দ্রের দূরদর্শীতার প্রতিফলন ঘটেছে, এদিন সংসদীয় আলোচনায় সে কথাও জানান অর্থমন্ত্রী। “শুধুমাত্র তাৎক্ষণিক বিষয় নয়, আমরা বাজেটে মাঝারি এবং দূরবর্তী অর্থনৈতিক উন্নয়নেও জোর দিয়েছি”, বলেন তিনি। তাঁর মতে এর ফলে ভারত পৃথিবীর দ্রুততম অর্থনৈতিক উন্নয়নের মধ্যে অন্যতম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।
১ ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট পেশের দিন নির্মলা সিতারামন দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষিত আত্মনির্ভর ভারতের পরিকল্পনা মাথায় রেখেই নতুন বাজেট তৈরি করা হয়েছে। শুক্রবার আরো একবার সে প্রসঙ্গই উঠে আসে অর্থমন্ত্রীর মুখে। তিনি বলেন, “আত্মনির্ভর ভারত তৈরি করার উদ্যোগ বাস্তবে এ দেশের ১৩০ কোটি জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন স্বরূপ।”
আরও পড়ুন- ঠিক দু’দিন আগেই মোদীর প্রশংসা দীনেশের, বিজেপিতে যাওয়া কি সময়ের অপেক্ষা?
এদিন সংসদের আলোচনা সভায় বাজেটের ভূয়সী প্রশংসা করেন বিজেপি সাংসদ অশ্বিনী বৈষ্ণবও। ২০২১-এর বাজেটকে সবচেয়ে সৎ এবং বাস্তবতা সম্পন্ন বলে মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর মতে এই বাজেট খরচ এবং বিনিয়োগের মধ্যে যথার্থ ভারসাম্য বজায় রেখেছে।