নয়াদিল্লি: কোভিড পরিস্থিতিতে চলতি বছর বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ অনেকটাই বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ বাজেট সংক্রান্ত ওয়েবিনারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ভূয়সী প্রশংসা করলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ভারতের উপর বিশ্বের আস্থা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ তবে আগামী দিনে করোনা ভাইরাসের মতো অতিমারি মোকাবিলা করার জন্য সারা বিশ্বকে প্রস্তুত থাকতে হবে৷
আরও পড়ুন- ব্রিকস সম্মেলনের আয়োজনে ভারতকে চিনা সমর্থন, তবে কি ভারতে আসছেন জিনপিং?
করোনার বিরুদ্ধে এক কঠিন লড়াই চালানোর জন্য সরকারি ও বেসরকরি সংস্থাগুলিকে এদিন অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী৷ নমো বলেন, ‘‘বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ অভূতপূর্ব ভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে৷ যার থেকে প্রমাণিত হয় যে স্বাস্থ্যখাতে উন্নতির ক্ষেত্রে আমরা কতটা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ৷ কোভিড আমাদের শিক্ষা দিয়ে গিয়েছে৷ ভবিষ্যতেও এমন সংকট মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে৷’’ তাঁর কথায়, এই অতিমারি পরিস্থিতিতে ভারত স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে যে শক্তি দেখিয়েছে তা নিবির ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে গোটা বিশ্ব৷ ভারতের স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রতি বিশ্বাস এক নতুন মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে৷ সারা বিশ্বে তা খ্যাতি অর্জন করেছে৷
এদিন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘চিকিৎসা সরঞ্জাম থেকে ওষুধ, ভেন্টিলেটর থেকে ভ্যাকসিন, বৈজ্ঞানিক গবেষণা থেকে তত্বাবধান, চিকিৎসক থেকে এপিডেমিওলজিস্ট, সব কিছুর উপর আরও বেশি করে নজর দিতে হবে৷ আমাদের আগামী দিনের চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে৷’’ তিনি বলেন, ভারতে চিকিৎসা শিক্ষার বিশেষ চাহিদা রয়েছে৷ এই বিষয়ে আগামী দিনে আরও বেশি করে জোড় দিতে হবে৷ সেই সঙ্গে আমাদের আরও বেশি করে সাশ্রয়ী হতে হবে৷ কেন্দ্রীয় বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি কেবল একটি অনুঘটক মাত্র৷
আরও পড়ুন- ভারতের আকাশে উড়বে ইমরান খানের বিমান! পাকিস্তানকে অনুমতি কেন্দ্রের!
প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকার চারটি বিষয়ের উপর কাজ করছে৷ প্রথম ক্ষেত্রটি হল রোগ প্রতিরোধ করা এবং সুস্থতার হার বাড়িয়ে তোলা৷ দ্বিতীয় ক্ষেত্রটি হল- দরিদ্রদের জন্য সস্তা এবং কার্যকর চিকিৎসা প্রদান করা৷ আয়ুষ্মান ভারত যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী জন ঔষধির মতো প্রকল্পগুলি এর জন্য রয়েছে৷ তৃতীয় ক্ষেত্রটি হল- স্বাস্থ্য পরিকাঠামো এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার গুণমান বৃদ্ধি করা৷ চতুর্থ ক্ষেত্রটি হল- এই সকল সমস্যাগুলি কাটিয়ে উঠতে মিশন মোডে কাজ করা৷