নয়াদিল্লি: গত মে মাস থেকে লাদাখ সীমান্তে টানটান উত্তেজনা, একাধিকবার চিনা আগ্রাসান, গালওয়ান উপত্যকায় রক্ত ঝরার পর আপাত ভাবে শান্তি ফিরছে সীমান্তে৷ সেনা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছে দুই দেশই৷ এই উত্তেজনার আবহেই ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে চলতি বছরের শেষে ভারতে আসতে চলেছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং৷ কিছুটা সুর নরম করেই এই বছর ভারতের ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে বেজিং৷
আরও পড়ুন- ভারতের আকাশে উড়বে ইমরান খানের বিমান! পাকিস্তানকে অনুমতি কেন্দ্রের!
ব্রিকস গোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা৷ পাঁচ উদীয়মান অর্থনীতির দেশ নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এই সম্মেলন৷ ২০২১ সালের বার্ষিক ব্রিকস সম্মেলনের আয়োজক দেশ হল ভারত৷ এই বিষয়ে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, ব্রিকস বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজক হিসাবে ভারতের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে চিন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা একে অপরের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে প্রস্তুত৷ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই পাঁচটি দেশ পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করবে৷ অর্থনীতি, রাজনীতি এবং সাংস্কৃতিক বিকাশের উপর বিশেষ নজর দেওয়া হবে৷’’
ব্রিকস সম্মেলনকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক, স্থিতিশীল এবং গঠনমূলক শক্তি বলেও দাবি করেছেন ওয়েনবিন৷ তাঁর কথায়, চিন ব্রিকস গোষ্ঠীর সংহতি ও সহোগিতার লক্ষ্যে সদস্য দেশগুলির মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷ বিশ্বকে কোভিড মুক্ত করতে, অর্থনৈতিক বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং বৈশ্বিক প্রশাসনের উন্নতির স্বার্থে বড় ভূমিকা নেবে ব্রিকস গোষ্ঠী৷ ২০২১ সালের শেষে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হবে৷ ব্রিকস সম্মেলনের আয়োজনে নয়াদিল্লির প্রতি বেজিংয়ের সমর্থন থাকলেও, শি জিনপিং এই সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসবেন কিনা, সে বিষয়ে স্পষ্ট জানায়নি চিনা বিদেশ মন্ত্রক৷ উল্লেখ্য, এর আগে সবকটি সম্মেলনেই যোগ দিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট৷ গত বছর ব্রিকস সম্মেলনের আয়োজক ছিল রাশিয়া৷
আরও পড়ুন- সেনাকে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে গরম তাঁবু দিলেন বাস্তবের র্যাঞ্চো-সোনম
প্রসঙ্গত, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর নয়াদিল্লির সুষমা স্বরাজ ভবনে ব্রিকস সচিবালয়ে ‘ব্রিকস ২০২১’ নামে একটি ওয়েবসাইট চালু করেন৷ বছর শেষে এই সম্মেলনে যোগ দিতে শি জিনপিং ভারতে পা রাখবেন কিনা, তার জবাব সময়ই দেবে৷