আগরতলা: ভোট সমীক্ষার কাজে প্রশান্ত কিশোরের একটি দল গিয়েছিল ত্রিপুরাতে। কিন্তু সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তারা সেই প্রতিনিধি দলকে হোটেলে আটকে রেখেছে। গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাপানউতোরের মাঝেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলেন ত্রিপুরাতে। সেই দলে ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সাংবাদিক বৈঠক করে ত্রিপুরার পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করলেন তারা এবং একই সঙ্গে ব্রাত্য জানালেন যে গোটা দেশ মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ব্রাত্য জানান, ত্রিপুরায় এসে তারা বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন এবং সাধারণ মানুষ তাদের চিনতে পেরে গাড়ি থামিয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কথা বলছে। এখানকার সাধারণ মানুষ দিদিকে চাইছে এবং স্লোগান তুলছে ‘খেলা হবে’। ব্রাত্য বসুর কথায়, গোটা ভারতবর্ষে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে তাকিয়ে এবং ত্রিপুরাও তার ব্যতিক্রম হবে না। একই সঙ্গে তিনি জানান, বিজেপি আদতে সকলকে নার্ভাস করাতে গিয়ে নিজেই নার্ভাস হয়ে যাচ্ছে। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে তারা এবং সকলকে ভয় দেখাতে চাইছে। এর পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, যাদের আটকে রাখা হয়েছিল তাদের এখন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কিন্তু গোটা বিষয়টাতে একটা জুলুমবাজি রয়েছে। ত্রিপুরার সাধারণ মানুষ সেটা খুব ভাল করেই বুঝতে পারছে।
আরও পড়ুন- খাস কলকাতায় এবার পুলিশের জালে ভুয়ো IPS, উদ্ধার বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র-গুলি
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে এক হাত নিয়ে ব্রাত্য আরও দাবি করেছেন, এর আগে মানুষ বামকে দেখেছে এখন রামকে দেখছে, এরপরে যদি কামকে দেখতে চায়, অর্থাৎ কাজ দেখতে চায় তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভরসা করতে হবে। আর তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানান যে ত্রিপুরার মানুষ কাজ দেখতে চাইছেন। উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় বেআইনিভাবে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের কর্মীদের আটক করা হয়েছিল। রবিবার রাত থেকে আগরতলা রোড ল্যান্ড পার্ক হোটেলে ওই দলের ২৩ জন সদস্যকে আটকে রাখা হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।