আগরতলা: ত্রিপুরার রাজনীতি এখন ভালো রকম উত্তপ্ত। বিগত কয়েক দিন ধরেই এই রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী এবং নেতাদের আগমন এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে যে সমস্ত ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। এদিকে আজ আবার এই রাজ্যে হাজির হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ এবং মন্ত্রীরা। বিজেপি দলের বিরুদ্ধে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাদের। ত্রিপুরায় এসে বিজেপি বিরোধী আওয়াজ তোলার পাশাপাশি রাজ্যের সিপিআইএম কর্মীরা সমর্থকদের উদ্দেশে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা এবং পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কার্যত বুঝিয়ে দিলেন যে ত্রিপুরার সিপিএমের জন্য তৃণমূলের দরজা খোলা।
এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, বাংলার সিপিএমের সঙ্গে ত্রিপুরার সিপিএমের একটা চরিত্রগত পার্থক্য রয়েছে। তারা চাইলে তৃণমূলে যোগদান করতে পারেন কারণ বিজেপির বিরুদ্ধে প্রকৃত লড়াই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করছেন এটা সকলেই বুঝতে পারছেন। তাই বিজেপির বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী হওয়ার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান জরুরী। তিনি আরো বলেন, ত্রিপুরার সাধারণ মানুষের কাছে তারা এই বার্তা দিতে চাইছেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে রাজ্যের উন্নয়নের কাজ করবে ঘাসফুল শিবির। সাধারণ মানুষ বুঝে যাবেন যে কারা তাদের স্বার্থে কাজ করছেন। আসলে ব্রাত্য বসু এমন মন্তব্য করে ত্রিপুরার বিরোধী দলগুলোকে যে এককাট্টা করতে চাইছেন তা বলাই বাহুল্য। কারণ ইতিমধ্যে উত্তর-পূর্ব সহ দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে রাজনৈতিক মাটি শক্ত করার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন- মহিলা শিক্ষাকর্মীকে জাত তুলে গালাগালি, শ্রীঘরে প্রধানশিক্ষক
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকাল থেকে একে একে ত্রিপুরা পৌঁছেছেন তৃণমূলের সাংসদ, মন্ত্রীরা। রয়েছেন তৃণমূলের সাংসদ শান্তনু সেন ও রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। এছাড়া সকালে পৌঁছেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। পরে আসার কথা রয়েছে প্রতিমা মণ্ডল, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্পিতা ঘোষ, কাকলি ঘোষ দস্তিদারের। দলের নির্দেশ, ১৬ অগাস্ট পর্যন্ত ত্রিপুরাতেই থাকতে হবে এই তাঁদের৷ সেখানেই হবে ‘খেলা হবে’৷ ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবস পালনের পর ১৬ অগাস্ট পালিত হবে ‘খেলা হবে’ দিবস৷ এই কর্মসূচি পালনে বাধা এলেই দ্রুত খবর দিতে হবে কলকাতায়৷