মহিলা শিক্ষাকর্মীকে জাত তুলে গালাগালি, শ্রীঘরে প্রধানশিক্ষক

মহিলা শিক্ষাকর্মীকে জাত তুলে গালাগালি, শ্রীঘরে প্রধানশিক্ষক

 

কাঁথি: আপনি আচারি ধর্ম অপরে শেখায়৷ তিনি শিক্ষক৷ সেই তাঁর মুখেই অকথ্য ভাষায় শোনা গেল গালিগালাজ৷ শুধু তাই নয়, জাত তুলে এক মহিলাকে গালিগালাজেরও অভিযোগ উঠেছে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে৷ লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি সাবাজপুট এলাকায়। ধৃত প্রধান শিক্ষকের নাম নন্দীশ নিয়োগী। প্রধান শিক্ষকের এহেন আচরণে ক্ষুব্ধ অভিভাবক থেকে এলাকার জন প্রতিনিধিরা।

অভিযোগ, স্কুলে পিয়নেক কাজ করেন মৌসুমী দাস নামে এক মহিলা। ওই মহিলার অভিযোগ, ‘‘আমাকে নিচ জাত বলে গালাগাল করতেন প্রধান শিক্ষক৷ এমনকি উনি স্কুলের রুমের মধ্যে ঢুকতে দিতেন না ও রেজিস্টার খাতায় সইও পর্যন্ত করতে দিতেন না৷ এমনকি স্টাফ রুমেও বসতে বারণ করেছিলেন৷ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের এহেন আচরণে চরম অপমান বোধ করি৷ মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি। তারই জেরে গর্ভে থাকা ৮  মাসের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। এরপরই সুবিচারের আশায় পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক, মহকুমা শাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়৷’’

জানা গিয়েছে, গত ১০ অগাস্ট এবিষয়ে কাঁথি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই শিক্ষা কর্মী৷ অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে কাঁথি থানার পুলিশ। এরপরই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ কাঁথি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাস বলেন, “মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এসটি আ্যডে মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে৷’’ সাবাজপুট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নমিতা দাস বলেন, ” প্রধান শিক্ষকের শাস্তি চাই। শুধু স্কুলের শিক্ষাকর্মী নয়, উনি স্কুলের রান্নার দায়িত্বে থাকা মহিলাদেরও গালাগালি করতেন৷ এনিয়ে স্কুলের অভিভাবকরা ক্ষুদ্ধ৷’’ অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *