পঞ্জাবের পুরভোটে মুখ থুবড়ে পড়ল বিজেপি! জয়জয়কার কংগ্রেসের

পঞ্জাবের পুরভোটে মুখ থুবড়ে পড়ল বিজেপি! জয়জয়কার কংগ্রেসের

অমৃতসর: কেন্দ্রীয় সরকারের বিতর্কিত কৃষি আইন নিয়ে বিজেপি যে বড়সড় ধাক্কা খাচ্ছে তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ দিল পঞ্জাব পুরভোট। সাতটি মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের মধ্যে পাঁচটি জিতল কংগ্রেস! অর্থাৎ পুর নির্বাচনী বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। এই ফল মূলত ঘটেছে বিতর্কিত কৃষি আইনকে ইস্যু করেই, এমনটাই ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আরও পড়ুন-  চিকিৎসক নিয়োগে বড়সড় দুর্নীতি! একাধিক বিভাগে একই শিক্ষকের নাম নিয়ে শোরগোল

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুরসভা নির্বাচন হয়েছিল পঞ্জাবে। পরবর্তী ক্ষেত্রে মঙ্গলবার কয়েকটি বুথের রিপলিং হয়। তবে যে কয়েকটা কর্পোরেশন কংগ্রেস দখল করেছে তার মধ্যে রয়েছে আভোর, ভাতিন্ডা, মোগা, কাপূর্থালা। এছাড়াও পাটালা এবং হোশিয়ারপুরে এগিয়ে রয়েছে হাত শিবির। এখনো কয়েকটি ওয়ার্ডে ভোট হচ্ছে যার ভোট গণনা হবে বৃহস্পতিবার। হঠাৎ সার্বিকভাবে পরিস্থিতি তাতে দেখা যাচ্ছে সাতটা কর্পোরেশনের মধ্যে পাঁচটি দখল করতে চলেছে কংগ্রেস। মূলত এই ফল কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইন প্রেক্ষিতেই হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে কেন্দ্রের বিতর্কিত কৃষি আইন নিয়ে যে আন্দোলন চলছে তার মধ্যে অন্যতম আন্দোলনকারীরা হচ্ছেন পঞ্জাবের। তাই এখন এই নির্বাচনে বিজেপি যে কোণঠাসা হবে তা বলাই বাহুল্য। এই কৃষি আইনকে কেন্দ্র করেই বিজেপির সঙ্গ ছেড়েছে শিরোমণি আকালি দল। তারা এই নির্বাচনে এককভাবে লড়াই করেছে। সুতরাং শরিকের সাহায্যও এখানে বিজেপি পাবে না। আরো একটা বিষয় দেখা গিয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস। মুক্তস্বরের কংগ্রেস প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে। তাই পাঞ্জাবের পুরভোটে যে পুরোপুরি বিজেপির বিরোধিতা করা হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। যদিও এই ফল একেবারেই মানতে চাইছে না বিজেপি শিবির। তাদের অভিযোগ ভোট লুট করে বুথ দখল করেছে কংগ্রেস। 

আরও পড়ুন- ‘‘চুরি করা চাল দিয়েই হচ্ছে ‘মা’ প্রকল্প”! ফের বিস্ফোরক শুভেন্দু

এর পাশাপাশি রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগও তোলা হয়েছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। যদিও আপাতত এই ফল নিয়ে কংগ্রেসের কোন রকম প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সম্পূর্ণরূপে ফল প্রকাশ পর্যন্ত তারা অপেক্ষা করবেন বলে অনুমান। উল্লেখ্য, কৃষি আইন ঘিরে উত্তেজনার পারদ আরো বেশি চড়ছে। কৃষকদের সকলে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের এমন বক্তব্য যে, ১০ লক্ষ লোক জমায়েত করলেও কেন্দ্রীয় সরকারের কিছু এসে যাবে না। সরকার এমনিতেও তাদের দাবি মানবে না তাই তারা সারা দেশজুড়ে আন্দোলন চালাবেন। তবে এখন পঞ্জাবের পুরো ভোটের ফলাফল বিজেপি শিবির কিভাবে ব্যাখ্যা করে তাই দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *