পাটনা: পড়া না পারলে ছাত্রছাত্রীদের একটু আধটু ধমক শিক্ষকরা দিয়েই থাকেন৷ মাঝে মধ্যে দেখতে হয় চোখ রাঙানি কিংবা দু-একটা চড়৷ আমাদের দেশে এ দৃশ্য খুবই স্বাভাবিক৷ তা বলে এমন অমানবিক দৃশ্য এর আগে খুব কমই দেখা গিয়েছে৷ শিক্ষকের বেধড়ক মারে জ্ঞান হারাল পাঁচ বছরের খুদে৷ এই ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী থাকল বিহার৷
আরও পড়ুন- ‘৩ থেকে ৭৭, বিজেপির ফলে আমি খুশি’, সাফ কথা মিঠুনের
এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ ওই ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে পাঁচ বছরের এক শিশুকে বেধড়ক মারছে তার শিক্ষক৷ ভয়ে যন্ত্রণায় তীব্র আর্তনাদ করছে শিশুটি৷ কিন্তু শিক্ষকের হাত থামেনি৷ মারতে মারতে বেত দু’টুকরো হয়ে যায়৷ এর পরেও ক্ষান্ত হননি ওই শিক্ষক৷ হাত দিয়েই চলতে থাকে চড়-থাপ্পড়, এমনকী ঘুষি! চুলের মুঠি ধরেও অমানবিক ভাবে মারধর করা হয় শিশুটিকে৷
শিক্ষকের মার সহ্য করতে না পেরে তাঁর পা ধরে কাকতি-মিনতি করতে থাকে একরত্তি৷ কিন্তু, শিক্ষকের মন গলেনি৷ তাঁর করুণ আর্তি কানেই তোলেননি নির্দয় শিক্ষক৷ এর পরেই দেখা যায় মারের চোটে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলে শিশুটি৷ এদিকে সহপাঠীকে এভাবে মার খেতে দেখে তখন ভয়ে কাঁটা বাকি শিশুরা৷
জানা গিয়েছে একটি কোচিং ক্লাসে পড়তে গিয়েছিল ওই শিশুটি৷ সেখানেই এই ঘটনাটি ঘটে৷ এর পর থেকেই উত্তেজনা পাটনার ধনরুয়া ব্লকে৷ শিশুটি জ্ঞান হারানোর খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান৷ বাচ্চাটির শারীরিক অবস্থা দেখে চমকে যান চিকিৎকরা৷ ওই কোচিং সেন্টারের বাকি পড়ুয়াদের মুখে শিক্ষকের কীর্তির কথা জানতে পারার পরই ছোট্টু নামের ওই শিক্ষকের উপর চড়াও হয় অভিভাবক ও স্থানীয়রা৷ কোচিং সেন্টারের মালিক অমরকান্ত কুমার জানান, ছোট্টুর উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। সেই কারণেই উত্তেজিত হয়ে গিয়ে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>