আমেদাবাদ: শনিবার আচমকা মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি৷ কেন হঠাৎ করে ইস্তফা দিলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে৷ সেই কৌতূহল এখনও বহাল তবে তার মাঝেই গুজরাটের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ভূপেন্দ্র প্যাটেল। জীবনে প্রথমবার বিধায়ক হওয়ার চার বছরের মধ্যেই এই উত্থান তাঁর। তবে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরেই বিতর্কে তিনি। কারণ শপথ নেওয়ার আগে ভুপেন্দ্র প্যাটেল ‘গোমাতা’র পুজো করেছেন।
আরও পড়ুন- লড়াইয়ের ৩৩ ঘণ্টা… মুম্বইয়ের ‘নির্ভয়া’ হার মানলেন নৃশংসতার কাছে
এদিন তাঁর এদিন শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার থেকে শুরু করে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত এবং মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও তাঁকে শুভেচ্ছা জানান এবং বলেন, ‘আমি ওনাকে বহু বছর ধরে চিনি। ওনার কাজ দেখেছি। বিজেপি সংগঠনের হয়ে যেমন উনি কাজ করেছেন সফলভাবে, তেমনই সমাজসেবামূলক কাজও করেছেন তিনি। তাই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার জন্য ভুপেন্দ্র প্যাটেলকে শুভেচ্ছা।’
Prime Minister Narendra Modi congratulates Bhupendra Patel on taking oath as CM of Gujarat.
“I’ve known him for years & have seen his exemplary work, be it in the BJP Organisation or in civic administration and community service,” PM tweeted pic.twitter.com/zawZ7eoodd
— ANI (@ANI) September 13, 2021
শনিবার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে রূপানি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিচ্ছি৷ সংগঠন এবং বিচারধারা আধারিত দল হিসাবে ভারতীয় জনতা পার্টির পরম্পরা অনুসারে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর্তাদের দায়িত্বও বদলে যায়৷ এটাই আমার দলের বিশেষত্ব৷ পার্টি যে দায়িত্ব দেয় মনোযোগ সহকারে সেই দায়িত্ব পালন করেন কার্যকর্তারা৷ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে সব ধরনের দায়িত্ব পালনের পর পদত্যাগপত্র দিয়েছি৷ এখন দলীয় সংগঠনে নতুন উদ্যমে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছি৷ এবার দল যে দায়িত্ব দেবে তা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব৷’’ তবে কেন হঠাৎ করে তিনি ইস্তফা দিলেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহর ঘনিষ্ঠ হিসাবেই তিনি পরিচিত। তাঁর নেতৃত্বেই ২০১৭ সালে বিধানসভা নির্বাচনে লড়ে বিজেপি। লড়াই কঠিন ছিল৷ তবে রাজ্যে ফের ক্ষমতায় ফেরে গেরুয়া শিবির এবং মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বিজয় রূপানিকেই বেছে নেওয়া হয়।