নয়াদিল্লি: ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কোভাক্সিনের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল (ডিজিসিআই)। বৃহস্পতিবার ভারত বায়োটেক এই অনুমতি পেয়েছে। তবে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার অনুমতির ক্ষেত্রে প্রাথমিক কার্যকারিতায় কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে।
ক্লিনিকাল পরীক্ষার ক্ষেত্রে কিছু রদবদল করতে হয়েছে ভারত বায়োটেককে। এখানে বলা হয়েছে নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনও পক্ষপাতিত্ব নেওয়া যাবে না। ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরুর আগে একটি প্রাথমিক কার্যকারিতার এই শেষ পয়েন্টটি নির্দিষ্ট করা দরকার। সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটির (SEC)বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, “ফার্মটি প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রয়ালের রিপোর্ট পেশ করেছে। সেখানে অ্যাক্টিভেটেড করোনার ভাইরাস ভ্যাকসিনের (বিবিভি 152) দুটি প্রজাতির প্রাণী চ্যালেঞ্জ ডেটা এবং তাদের কার্যকারিতা প্রকাশ করা হয়েছে।” প্যানেল তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার জন্য অনুমতি দিয়েছেন গবেষকরা। তবে তা অবশ্যই প্রাথমিক কার্যকারিতার এই শেষ পয়েন্টটি যেন মাথায় রাখা হয়।
আরও পড়ুন: টুইটারের মানচিত্রে চিনের অংশ লেহ, সতর্ক করল ভারত
প্যানেল সুপারিশ করেছে যে একবার সন্দেহজনক বিষয় নিশ্চিত হয়ে গেলে, প্রধান তদন্তকারীকে উল্লেখযোগ্য মামলাগুলি শ্রেণিবদ্ধ করে তা ক্লিনিকাল ট্রায়ালে মূল্যায়ন করতে হবে। প্যানেলের সুপারিশ অনুসারে একটি এই মামলার শ্রেণিবদ্ধ করে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার পাশাপাশি দুটি মানদণ্ডের মধ্যে দুটি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে:
১. ক্রাইটেরিয়া A- এক বা একাধিক ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট বা শ্বাসে অসুবিধা, নতুন সূত্রপাত অনিয়ম বা অ্যাগ্রিজিয়া, ৯৯ শতাংশেরও কম অক্সিজেনের স্যাচুরেশন বা পরিপূরক অক্সিজেনের বৃদ্ধি, বুকের এক্স-রে বা সিটি স্ক্যান দ্বারা চিহ্নিত নিউমোনিয়া, শক দেওয়ার প্রমাণ, আইসিইউ ভর্তি বা মৃত্যু।
২. ক্রাইটেরিয়া B- আরও দু’একটি ক্ষেত্র, যেমন- জ্বর, সর্দি, কাশি, মাইলজিয়া / অবসন্নতা, মাথাব্যথা, গলা ব্যথা, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, ভিড় / নাকের স্রাব।
প্রসঙ্গত ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির সাহায্যে ভারত বায়োটেক করোনার প্রতিষেধক কোভাক্সিন তৈরি করছে। এটি ভারতের প্রথম দেশীয় করোনা টিকা।