নয়াদিল্লি: হিন্দুত্ব নিয়ে ফের সোচ্চার রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত৷ শনিবার গোয়ালিয়রের এক সভায় তিনি বলেন, ‘যেখানেই হিন্দুরা দুর্বল সেখানেই দেশের অখণ্ডতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ ভারতের আত্মার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে হিন্দুত্ব৷’ পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, ব্রিটিশ সরকার ভারতের ইতিহাস নতুন করে লিখেছে৷ তাতেই সমস্যা বেঁধেছে৷
আরও পড়ুন-বউ পেটানো সঠিক? তথ্য প্রকাশ্যে, বাংলার অধিকাংশ মহিলাদের সম্মতি
মোহন ভাগবতের কথায়, ‘‘ব্রিটিশরা ভারতে আসার পর পুরনো ইতিহাস নষ্ট করে নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে। ভারতের সেই পুরনো ঐতিহ্যশালী ইতিহাসকেই আমাদের পুনরুদ্ধার করতে হবে।’’ আরএসএস প্রধান আরও বলেন, শক্তিশালী সমাজ গঠনের জন্য শক্তিশালী হিন্দুত্বের প্রয়োজন রয়েছে৷ এখানেই থেকে থাকেননি তিনি৷ ভাগবত আরও বলেন, ‘‘ভারত মানেই হিন্দু আর হিন্দু মানেই ভারত। এই তত্ত্বটাকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে হবে। কারণ, ব্রিটিশরা এসে ভারতের এই সুপ্রাচীন ঐতিহ্যকে সম্পূর্ণ নষ্ট করে দিয়ে গিয়েছে।’’
মোহন ভাগবত বলেন, ব্রিটিশদের চোখে যাঁরা ছিলেন হীন, যাঁদের যাযাবর বলে প্রমাণ করার চেষ্টা হয়েছিল, তাঁরা আসলে ছিলেন সাধুসন্ত। তাঁরাই ভারতের গৌরবময় অতীত৷ হিন্দুত্বকে ভারতের থেকে পৃথক করা সম্ভব নয়৷ এটাই ভারতের বিশেষত্ব। কিন্তু, ব্রিটিশরা সেই ভারতের সেই গৌরবকে ম্লান করার চেষ্টা করেছিল। ব্রিটিশ সরকার আমাদের দেশকে খণ্ডিত করেছে৷
আরএসএস প্রধান আরও বলেন, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের ফলে হিন্দুরা দুর্বল হয়েছে। ভারত ভাগ হয়ে যখন পাকিস্তানের জন্ম হল, তখন একবারও কিন্তু বলা হয়নি আমরা হিন্দুস্তান হলাম। তবে ওঁরা জানত যে ভারত আর হিন্দু অভিন্ন। যেখানেই হিন্দুরা দুর্বল হয়েছে, সেখানেই ভারত দ্বিখণ্ডিত হয়েছে। এখনও আমাদের দেশে যেখানেই হিন্দুরা দুর্বল হয়েছে, সেখানেই দেশের অখণ্ডতা প্রশ্নের মুখে পড়েছে৷ এ প্রসঙ্গে পঞ্জাবি কবি মহম্মদ ইকবালের কথাও তুলে ধরেন ভাগবত৷ তিনি বলেন, আমরা আমাদের পরিচয় কখনও হারাইনি।