নয়াদিল্লি: বউ পেটানো সঠিক কী সঠিক নয় তা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করল জাতীয় পরিবার সংস্থা সমীক্ষা। ১৮ রাজ্যসহ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই সমীক্ষা করা হয়েছে যেখান থেকে জানা গিয়েছে যে সিংহভাগ মহিলারা স্বামীর বউ পেটানোকে ন্যায় সঙ্গত বলে মনে করছেন! অন্যদিকে বাংলার অধিকাংশ মহিলা বউ পেটানো সমর্থন করেন! শুনতে অবাক লাগলেও এমন তথ্যই প্রকাশ্যে এসেছে সম্প্রতি।
জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষা বলছে, কর্ণাটকের ৮১.৯ শতাংশ পুরুষ মনে করেন বউ-পেটানো ন্যায় সঙ্গত। এটি সর্বোচ্চ। অন্যদিকে হিমাচল প্রদেশের ১৪.২ শতাংশ পুরুষ মনে করেন বউ পেটানো অপরাধ নয়। এটি সর্বনিম্ন। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, অধিকাংশ রাজ্যে মহিলারা এই বিষয়ে সম্মতি প্রকাশ করেছেন। তেলেঙ্গানার এবং অন্ধপ্রদেশের ৮৪ শতাংশ মহিলা বউ পেটানো সমর্থন করেন। আবার পশ্চিমবঙ্গের ৪৪ শতাংশ মহিলা মনে করেন বউ পেটানো যুক্তি সঙ্গত! সবথেকে কম সমর্থন জানানো হয়েছে কেরল, জম্মু-কাশ্মীর এবং মহারাষ্ট্রে। যদিও শতকরা হিসেবে এটি খুব একটা কম নয়। কারণ কেরলের ৫২ শতাংশ এবং জম্মু-কাশ্মীরের ৪৯ শতাংশ মহিলারা মনে করেন যে বউ পেটানো যুক্তিযুক্ত।
অবশ্য এর পেছনে অনেক কারণ দেখিয়েছেন মহিলারা। মূলত বেশ কয়েকটি নির্দিষ্ট কারণের জন্য স্বামীরা তাদের বউকে মারধর করেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কারণ শ্বশুরবাড়ির মানুষদের সম্মান না দেওয়া এবং সন্তানদের প্রতি নজর না দেওয়া। এ ছাড়াও একাধিক কারণের মধ্যে রয়েছে, স্বামীর সঙ্গে তর্ক করা, স্বামীর সঙ্গে যৌন সঙ্গমে রাজি না হওয়ায়, আবার পরকীয়া। যদিও এই সমস্ত কারণ শুনে অনেকেই হতবাক হয়েছেন কারণ তাদের মতে এই ধরনের কারণে হোক বা অন্য কোন বিষয়, স্ত্রীর গায়ে হাত দেওয়া কখনোই যুক্তি সঙ্গত হতে পারে না।