BREAKING: চলতি মাসেই বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায়, আডবানি-জোশীদের হাজিরার নির্দেশ

BREAKING: চলতি মাসেই বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায়, আডবানি-জোশীদের হাজিরার নির্দেশ

 

নয়াদিল্লি: ২৮ বছর আগের বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায় দিতে চলেছে বিশেষ সিবিআই আদালত৷ ৩০ সেপ্টেম্বর এই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে জানানো হয়েছে৷ এই মামলায় ৩২ জন অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন লালকৃষ্ণ আডবানি এবং মুরলি মনোহর জোশীর মতো বর্ষীয়াণ বিজেপি নেতা৷ রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উমা ভারতী এবং রাজস্থানের প্রাক্তন গভর্নর কল্যাণ সিং৷ ওই দিন সকল অভিযুক্তকে আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ 

আরও পড়ুন- সুখবর! ভারতকে ১০ কোটি করোনা ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে রাশিয়া

 

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ধ্বংস হয় বাবরি মসজিদ৷ সেই সময় বিজেপি’র অন্যতম শীর্ষ নেতা ছিলেন এলকে আডবানি, জোশী এবং ভারতী৷ রামমন্দিরের স্থানে এই মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছিল বলে অভিযোগ৷ গত বছর নভেম্বর মাসে এক ঐতিহাসিক রায়ে বাবরি মসজিদের ধ্বংস স্থলে রাম মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট৷ কিন্তু বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার নিষ্পত্তি এখনও হয়নি৷ গত ২৪ জুলাই ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে সিবিআই আদালতে বয়ান রেকর্ড করেন ৯২ বছরের বর্ষীয়ান নেতা লালকৃষ্ণ আডবানি৷

এর এক দিন আগে জবানবন্দি রেকর্ড করেন মুরলি মনোহর জোশী৷ দু’জনেই নিজেদের বয়ানে তাঁদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন৷ লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত ফৌজদারি আইনের ৩১৩ ধারা অনুসারে ৩২ জন অভিযুক্তর বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে। কল্যাণ সিং, উমা আদালতে হাজির হয়ে বয়ান নথিভুক্ত করেছেন। আডবাণী ও জোশী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বয়ান দেন। গত জুলাই মাসে একটি সাক্ষাৎকারে উমা ভারতী বলেছিলেন, ‘‘মামলার রায় কী হবে, তাতে কিছু ফারাক পড়ে না৷ আমাকে যদি ফাঁসি দেওয়া হয়, তাহলে আমি ধন্য হব৷’’  

আরও পড়ুন- শেষ ৬ মাসে চিন সীমান্তে কোনও অনুপ্রবেশ ঘটেছে? সংসদে নয়া তথ্য কেন্দ্রের

বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কল্যাণ সিং৷ বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর উত্তর প্রদেশ জুড়ে দাঙ্গা শুরু হয়৷ মৃত্যু হয় তিন হাজার মানুষের৷ এর পরই সরকার ভেঙে দেওয়া হয়৷ ২০১৭ সালে এই মামলার প্রতিদিন শুনানির জন্য বিশেষ আদালতকে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত৷ দুই বছরের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করার নির্দেশও দেওয়া হয়৷ এর পরেও বেশ কয়েক বার সময়ের মেয়াদ বাড়ানো হয়৷  গত বছরের ১৯ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, ৯ মাসের মধ্যে বিচার শেষ করতে হবে। সেই সময়সীমা শেষ হয় এ বছরের এপ্রিলে। বিশেষ বিচারপতি এসকে যাদব আরও সময় চাইলে ৩০ সেপ্টেম্বরের সময়সীমা বেঁধে দেয় সুপ্রিম কোর্ট৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *