নয়াদিল্লি: অনেক চেষ্টা করেছিলেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী। কিন্তু গরু পাচার মামলায় তাঁর তিহাড় জেলে যাওয়া আটকাতে পারা যায়নি। অসুস্থতার কথা বলা হয়েছিল শেষ মুহূর্তে। কিন্তু দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত ইডির পক্ষেই রায় দিয়েছে। তাই এখন অনুব্রতর ঠাঁই হয়েছে তিহাড় জেলেই। জানা গিয়েছে, এই মামলায় অন্য অভিযুক্ত সায়গল হোসেন এবং মণীশ কোঠারির সঙ্গে একই সেলে থাকছেন তিনি। তবে জেলে ঢুকেই তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল বলে খবর। পাশাপাশি একাধিক বিধি মেনেই থাকতে হচ্ছে বীরভূমের এই দুর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকে।
আরও পড়ুন- কোথায় কেষ্ট-কন্যা? বোলপুর ছেড়েছেন, পৌঁছলেন না দিল্লি, ইমেল পাঠিয়ে অন্তরালে সুকন্যা
জেলে যাওয়ার আগে অনুব্রত জানতে চেয়েছিলেন তিনি তাঁর সঙ্গে অক্সিজেন, নেবুলাইজার বা ওষুধপত্র নিয়ে যেতে পারবেন কিনা। তবে আদালত এতকিছুর অনুমতি দেয়নি। স্পষ্ট নির্দেশ, তাঁর কাছে শুধু প্রেসক্রিপশন থাকতে পারে। তিহাড়ে চেকআপের পর প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হবে। আর যদি প্রেসক্রিপশনে থাকা কোনও ওষুধ না দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশে অনুব্রতর আইনজীবী বাকি ওষুধের ব্যবস্থা করতে পারবেন বাইরে থেকে। আপাতত জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে অনুব্রতর অক্সিজেন নিয়ে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তবে এখন তিনি ঠিক আছেন। তিহাড় জেলের ৭ নম্বর সেলে একসঙ্গেই আছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল, হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি এবং খোদ তৃণমূল নেতা।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”ফের হাজিরা এড়ালেন সুকন্যা! Sukanya Mondal skips ED summon again” width=”835″>
জেল সূত্র আরও জানা গিয়েছে, অনুব্রতকে দড়ি দেওয়া পাজামা পরতে দেওয়া হয়নি এবং যেহেতু তাঁর দেশি টয়লেটে বসতে অসুবিধা হয়। তাঁকে ওয়েস্টার্ন টয়লেট তথা কমোড ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অনুব্রতর বাংলা ছাড়া অন্য কোনও ভাষা বলতে এবং বুঝতে সমস্যা হওয়ার জন্য দোভাষীর ব্যবস্থা করতেও বলা হয়েছে।