কলকাতা: তিনি ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি৷ তৃণমূলে তাঁর প্রত্যাবর্তনের পর আপাতত সেই পদ শূন্য৷ মুকুল রায়ের ফেলে আসা জায়গায় এবার কে? এই প্রশ্নটা ক্রমশই জোড়াল হচ্ছে বিজেপি’র অন্তরে৷ জল্পনায় উঠে আসছে একাধিক নাম৷
আরও পড়ুন- তৃতীয় ঢেউ সামল দিতে করোনা যোদ্ধাদের জন্য বিশেষ কোর্স, উদ্বোধন করলেন নমো
একুশের লড়াইয়ে বঙ্গে বিপর্যের পর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে এটা স্পষ্ট যে, বাংলার মন জিততে লড়াইয়ের মুখ করতে হবে কোনও বাঙালিকেই৷ আর বাংলাকে পাখির চোখ করলে, এই তালিকায় সবার আগে উঠে আসেছে শুভেন্দু অধিকারীর নাম৷ ধর্মীয় মেরুকরণ প্রসঙ্গে কট্টর অবস্থা নিয়ে লড়াই করে চলেছেন তিনি৷ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই লড়াইয়ে উঠে এসেছে স্মৃতি ইরানির নামও৷ পরনে বাঙালি ছাপ, বাংলাতেও সাবলীল৷ সেই সঙ্গে অতিপরিচিত ও জনপ্রিয় মুখ তিনি৷ এতগুলো ফ্যাক্টর এগিয়ে রেখেছে স্মৃতি ইরানিকেও৷ পাশাপাশি উঠে এসেছে স্বপন দাশগুপ্তের নামও৷ একুশের ভোটে তারকেশ্বরের প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি৷ ভোটে পরাজিত হওয়ার পর ফিরেছেন রাজ্যসভায়৷ বিজেপি’র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি হিসাবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ভাবনায় রয়েছে তাঁর নামও৷
একুশের ফলাফল বিশ্লেষণ করে রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, শহরে বাঙালির মনে এখনও সে ভাবে জায়গা পাকা করতে পারেনি গেরুয়া শিবির৷ কলকাতাও সংলগ্ন জেলাগুলিতে কার্যত কোনও ছাপই ফেলতে পারেনি পদ্ম ব্রিগেড৷ প্রেসিডেন্সি রেঞ্জে ৭৫টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে মাত্র ১টি৷ এই প্রেক্ষাপটে বিজেপি’র একাংশ মনে করছে নেতা হিসাবে দিলীপ ঘোষ শহুরে ভোটারদের মনে জায়গা করে নিতে পারেননি৷ তাই স্বপন দাশগুপ্তের মতো উচ্চশিক্ষিত মুখকে গুরু দায়িত্ব দেওয়া যেতেই পারে৷ বিজেপি’র স:বভারতীয় সহ-সভপতি নিয়ে এই জল্পনার মধ্যেই ২৯ জুন বৈঠকে বসছে বিজেপি’র রাজ্য কমিটি৷