৫০ বার ‘ফেল’! সম্প্রীতির বেতন এখন ১ কোটি টাকার বেশি

৫০ বার ‘ফেল’! সম্প্রীতির বেতন এখন ১ কোটি টাকার বেশি

কলকাতা: কথায় বলে ‘কষ্ট করলেই কেষ্ট মেলে’৷ কথাটা বাস্তবে যে কতখানি খাটি, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন বিহারের মেয়ে সম্প্রীতি যাদব৷ বারবার ব্যর্থ হলেও, হাল ছাড়েননি তিনি৷ লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন এককাট্টা হয়ে৷ পরিশ্রমের ফলও পেয়েছেন৷ হাতে এসেছে স্বপ্নের চাকরি৷ গুগল কর্মী সম্প্রীতির বার্ষিক বেতন এখন ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা৷ তাঁর এই লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছে গোটা দেশ৷  

আরও পড়ুন- তলহা সইদকে ‘জঙ্গি’ ঘোষণা করল ভারত! কে এই ব্যক্তি

প্রতিদিন সকালে চাকরির খোঁজে বার হয় না জানি কত ছেলে মেয়ে৷ দিনের শেষ কেউ সাফল্যের হাসি হাসে, কেউ আবার ব্যর্থ৷ কিন্তু তা বলে হেরে যাওয়া নয়৷ নতুন করে লড়াইয়ের সূচনা করা৷ আর সেটাই করে দেখিয়েছেন ২৪ বছরের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়র সম্প্রীতি৷ তাঁর সফরও সহজ ছিল না। গুগলে চাকরি পাওয়ার পর সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সম্প্রীতি বলেন, ‘‘অনেক সময় ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে খুব নার্ভাস লাগত। তবে মন শক্ত রেখেছি৷ হাল ছাড়িনি৷ পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের পাশে পেয়েছি। সেই শক্তিতেই নার্ভাসনেস কাটিয়ে প্রতিটি ইন্টারভিউ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দিতে পেরেছি।’’ তাঁর কথায়, যতবার ইন্টারভিউ দিয়ে বাতিল হয়েছি, ততবার কিছু শিখতে পেরেছি৷ রিজেক্ট হওয়ার মধ্যেও শিক্ষা রয়েছে৷ প্রতিটি ব্যর্থতা নতুন করে প্রেরণা জুগিয়েছে তাঁকে। সম্প্রীতি বলেন, পরের বার কী ভাবে সফল হব প্রতিটি ব্যর্থতা থেকে সেই শিক্ষাই নিয়েছি৷ 

সম্প্রীতির বাবা ব্যাঙ্ক কর্মী, মা সরকারি কর্মচারী৷ সম্প্রীতি জানান, ইন্টারভিউয়ে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর প্রতিবার আরও বেশি পরিশ্রম করেছেন৷ ইন্টারভিউয়ের আগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিজেকে প্রস্তুত করতেন৷ বারবার ব্যর্থ হতে হতেই সম্প্রতি গুগলে চাকরি পান দিল্লি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সম্প্রীতি যাদব৷ আপাতত তাঁর কর্মস্থল লন্ডন। মোটা অঙ্কের বেতন৷ কাজে যোগ দেওয়ার আগে সম্প্রীতি বলেন, ‘‘যে কোনও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের কাছেই গুগলে চাকরি পাওয়াটা স্বপ্নের মতো। কারণ, গুগলই বিশ্বের সেরা টেক-ফার্ম। গুগলের চাকরি নিয়ে লন্ডনের অফিসে কাজে যোগ দেওয়া, আমার কাছে দারুণ আনন্দের বিষয়। যা আমার আত্মবিশ্বাসকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।’’