নয়াদিল্লি: শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যাকাণ্ডের পরতে পরতে রহস্য৷ পুলিশের জেরার মুখে এক একবার এক এক রকমের তথ্য তুলে ধরছেন শ্রদ্ধা খুনে মূল অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা৷ প্রথমে আফতাব জানিয়ে ছিলেন, লিভ ইন পার্টনার শ্রদ্ধার কাটা মাথা তিনি ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন৷ এবার জানালেন, তিনি নাকি শ্রদ্ধার কাটা মাথা ছুড়ে ফেলেছিলেন পুকুরের জলে৷ শ্রদ্ধার কাটা মুন্ডুর খুঁজতে রীতি বেগ পেতে হয় দিল্লি পুলিশকে৷ জঙ্গল থেকে শ্রদ্ধার মাথার খুলির অর্ধেকাংশ উদ্ধারের পর আফতাবের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ময়দানগড়ি পুকুরের জল বার করার কাজ শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি তন্ন তন্ন করে চলছে শ্রদ্ধার কাটা মাথার খোঁজ৷ যদিও এখনও রহস্যের কিনারায় পৌঁছতে পারেনি পুলিশ৷ সত্য খুঁজে বার করতে সোমবার নারকো টেস্ট করা হবে আফতাবের৷ সাজানো হয়েছে প্রশ্নের তালিকা৷
আরও পড়ুন- লাইনচ্যুত হয়ে প্ল্যাটফর্মে উঠল মালগাড়ি! মৃত ৩, আহত ২
পুলিশ সূত্রের খবর, তিনি যে মেহরৌলির পুকুরে শ্রদ্ধার কাটা মাথা ফেলে এসেছিলেন, সে কথা স্বাকীর করে নিয়েছেন আফতাব৷ তার বয়ানের ভিত্তিতেই রবিবার শুরু হয় পুকুরের জল ছেঁচে ফেলার কাজ৷ তল্লাশি চালায় দিল্লি পুলিশ। যদিও প্রথমে আফতাব জানিয়েছিলেন, তিনি মেহরুলির ঘন জঙ্গলেই শ্রদ্ধার দেহাংশ পলিথিনে মুড়ে ফেলে দিয়ে এসেছিলেন।
শ্বাস রোধ করে শ্রদ্ধাকে খুন করার পর তাঁর দেহ ৩৫টি টুকরো করে প্রেমিক আফতাব৷ এই নৃশংস কাজ করা আগে গাঁজা সেবন করেছিলেন তিনি। ছত্তরপুরে তাঁদের রেন্ট নেওয়া ফ্ল্যাটে বসেই নেশা করেন৷ প্রেমিকাকে খুন করার পর নেশা কাটতেই অস্থির হয়ে পড়েছিলেন আফতাব। শ্রদ্ধার দেহের অংশ পলিথিনে মুড়ে জঙ্গলে ফেলে আসার আগে একইভাবে গাঁজা খান তিনি। হিমাচলপ্রদেশ থেকে তিনি গাঁজা নিয়ে আসতেন বলেই জানান আফতাব৷ সে কথা জানত শ্রদ্ধাও৷ গাঁজা সেবন নিয়ে দু’জনের মধ্যে বহুবার অশান্তিও হয়েছিল। পুলিশের অনুমান, ময়দানগড়ি পুকুর পাড়ে বসেও একই ভাবে গাঁজার নেশা করেছিলেন শ্রদ্ধার খুনি। তারপরই শ্রদ্ধার কাটা মুন্ডু পুকুরে ছুড়ে ফেলে চম্পট দেন৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>