নয়াদিল্লি: এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে এখন শোরগোল দেশে। সকলেই ঘটনার কথা শুনে স্তম্ভিত। শ্রদ্ধা ওয়াকারকে তার প্রেমিক আফতাব খুন করে দেহের ৩৫ টি টুকরো করে নিজের বাড়িতে রেখে দিয়েছিল, পরে তা জঙ্গলে ফেলে আসে একটা একটা করে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে তবে তদন্ত শুরু হওয়ার পর যা যা তথ্য সামনে আসছে সেগুলি যেন আরও মারাত্মক। জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধার কাটা দেহ ঘরে রেখেই অন্য মেয়েদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হত আফতাব! শুধু তাদের বাড়িতে আনার আগে শ্রদ্ধার দেহাংশগুলি অন্যত্র সরিয়ে দিত।
আরও পড়ুন- হঠাৎ চায়ের দোকানে ঢুকলেন মুখ্যমন্ত্রী, শুরু করলেন চপ পরিবেশন
প্রায় আড়াই বছরের সম্পর্ক ছিল শ্রদ্ধা এবং আফতাবের। কিন্তু পুলিশি জেরায় আফতাব জানিয়েছে, ইদানীং তাঁদের সম্পর্ক ভালো ছিল না, শ্রদ্ধা তাকে বিয়ের জন্য জোর দিত। রাগের বশে সে তাকে খুন করে ফেলে। কিন্তু যে তথ্য এখন সামনে আসছে তা থেকে বোঝা যায়, রাগের বশে খুন করলেও পরে আফতাব যা যা করেছে তা পরিকল্পনা না থাকলে হয় না। ঠান্ডা মাথাতেই সব কাজ সেরেছে সে। প্রথমেই জানা গিয়েছিল, প্রেমিকার দেহ ৩৫ টুকরো করে কাটার পর সে নতুন ফ্রিজ কিনেছিল তাতে দেহাংশ রাখবে বলে। এবার জানা গেল, অন্যান্য মেয়েদের সঙ্গে সে সেই ঘরেই যৌনসঙ্গমে লিপ্ত হত যে ঘরে শ্রদ্ধার কাটা দেহ ছিল।
পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, নতুন সঙ্গীকে যখনই দিল্লির ওই ফ্ল্যাটে নিয়ে আসত আফতাব, তখনই ফ্রিজ থেকে দেহাংশ সরিয়ে অন্য আলমারিতে রাখত সে। বান্ধবী চলে যাওয়ার পর তা আবার এনে রাখত ফ্রিজে। বাইরে থেকে মাংসের পচা গন্ধ যাতে ঘরে না ছড়ায়, তার জন্য বান্ধবী ফ্ল্যাটে এলে বিভিন্ন ধরনের ধূপ এবং সুগন্ধিও ব্যবহার করত আফতাব।