Aajbikel

শ্রদ্ধার কাটা মুন্ডুর সঙ্গে কথা বলতেন, মেক আপ করাতেন, রেগে গেলে চড়ও মারতেন আফতাব!

 | 
আফতাব শ্রদ্ধা

নয়াদিল্লি: নৃশংস ভাবে খুন৷ তিন মাস ধরে লিভ ইন সঙ্গী শ্রদ্ধা ওয়ালকারের দেহ ৩৫ টুকরো৷ তার পর ঠাণ্ডা মাথায় প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা  করেছিলেন আফতাব আমিন পুনাওয়ালা৷ নৃশংসতার এখানেই শেষ নয়৷ আফতাবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, খুনের পর রোজ রাতে শ্রদ্ধার কাটা মুন্ডুর সঙ্গে কথা বলতেন তিনি! শুধু তাই-ই নয়, শ্রদ্ধার কাটা মুন্ডু ফ্রিজ থেকে বার করে তাতে মেক আপ করাতেন৷ সেই কাটা মুন্ডুর সঙ্গে কথা বলতে বলতে রাগ হলে তার গালে চড়ও মারতেন। এমনটা স্বীকার করেছেন খোদ আফতাব৷

 

আরও পড়ুন- ৮০০ কোটি ছুঁয়ে ফেলল বিশ্বের জনসংখ্যা, সবচেয়ে বেশি অবদান ভারতের

জেরায় পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, শ্রদ্ধাকে খুন করার পর ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে আরও এক তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়েছিলেন আফতাব। ওই তরুণীকে ছতরপুরের বাড়িতেও ডেকে আনতেন তিনি৷ ওই তরুণী আসার আগেই শ্রদ্ধার কাটা মুন্ডু ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখে দিতেন আফতাব। আর তাঁর শরীরের টুকরোগুলি ঢুকিয়ে রাখতেন আলমারিতে৷ যেখানে যেখানে শ্রদ্ধার দেহাংশ রাখতেন, সেখানেই সালফার হাইপোক্লোরিক অ্যাসিড দিয়ে পরিষ্কার করে দিতেন৷  যাতে ফরেন্সিক তদন্ত হলে কোনও প্রমাণ না মেলে।

অভিযোগ, ছ’মাস আগে ২৭ বছরের লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে খুন করেন বছর ২৮-এর আফতাব। এর পর তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেন। শ্রদ্ধার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার গ্রেফতার করা হয় আফতাবকে। আপাতত ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন তিনি৷ তাঁকে জেরা করে পুলিশ৷ সেই সময়ই জানা গিয়েছে, অপরাধ নিয়ে ‘ডেক্সটার’ সিরিজ দেখতেন তিনি।

গত ১৮ মে শ্রদ্ধাকে খুন করেন আফতাব৷ ১৯ তারিখ সকালে নিকটবর্তী একটি বাজার থেকে ৩০০ লিটারের ফ্রিজ কেনেন। ক্রেডিট কার্ডে ফ্রিজের ২৩,৫০০ টাকা বিল মেটান৷ তার পর সেখান থেকে চলে যান ছুরি, কাঁচির দোকানে৷ সেখান থেকে ছুরি কেনার পর বেশ কিছু প্লাস্টিকের ব্যাগও কিনে নেন। এর পর শ্রদ্ধার দেহ ফ্রিজে রেখেই অন্য মেয়েদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন আফতাব৷ 

Around The Web

Trending News

You May like