২৮ বছর পর কাল বাবরি রায়, আদালতে হাজিরা দেবেন না আডবানী-জোশীরা

২৮ বছর পর কাল বাবরি রায়, আদালতে হাজিরা দেবেন না আডবানী-জোশীরা

নয়াদিল্লি: রাত পোহালেই বাবরি মসজিদ মামলার রায়৷ ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর একদল উন্মত্ত জনতার হামলায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল বাবরি মসজিদ৷ এই ঘটনার জোয়ারে সারা দেশজুড়ে শুরু হয়ে ছিল সাম্প্রদায়িক হিংসা৷ মৃত্যু হয়েছিল ১,৮০০ জনের৷ ২৮ বছর পর এই ঘটনার ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করতে চলেছে লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত৷ এই মামলায় অভিযুক্তের তালিকায় কয়েছেন বর্ষীয়াণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবানী, মুরলী মনোহর জোশী, কল্যাণ সিং, উমা ভারতীর মতো একাধিক হেভিওয়েট নেতার নাম৷ 

আরও পড়ুন- ‘সস্তায়’ আরও ১০ কোটি ভ্যাকসিন আনছে সিরাম, দাম হবে মাত্র ***টাকা

বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় মোট ৪৯ জন অভিযুক্তের মধ্যে ইতিমধ্যেই ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ বাকিদের ভাগ্য নির্ধারিত হবে বুধবার৷ এর আগে বলা হয়েছিল রায় ঘোষণার সময় সকল অভিযুক্তকে আদালতে উপস্থিত থাকতে হবে৷ তবে আগামীকাল আদালতে উপস্থিত থাকবেন না লাল কৃষ্ণ আডবানী এবং মুরলী মনোহর জোশী৷ কোভিড পরিস্থিতি ও শারীরিক অসুস্থতার জন্যই আগামীকাল সকল অভিযুক্ত আদালতে উপস্থিত থাকতে পারবেন না৷ আদালতে উপস্থিত থেকে রেহাই চেয়ে আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন ৯২ বছরের আডবানী এবং ৮৬ বছরের জোশী৷ আবার করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন উমা ভারতী৷ অন্যদিকে, কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বাবরি মামলার অন্যতম অভিযুক্ত কল্যাণ সিং৷ 

আরও পড়ুন- ‘ট্রাক্টর জ্বালিয়ে কৃষকদেরই অপমান করেছে কংগ্রেস’, হাত শিবিরকে তুলোধনা মোদীর

এদিকে, গত বছর অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেয় শীর্ষ আদালত। শিলান্যাসের পর ইতিমধ্যে অযোধ্যা মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ১৯৯২ সালে লালকৃষ্ণ আডবানি, মুরলী মনোহর জোশী-সহ তিন বিজেপি নেতার নেতৃত্বেই উত্তেজিত করসেবকরা গুঁড়িয়ে দিয়েছিল বাবরি মসজিদ৷ যদিও এই ঘটনায় যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করেন আডবানী ও জোশী। কিন্তু উমা ভারতী এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘এই মামলার রায় যাই হোক, তাতে আমার কিছু আসে যায় না৷ আমাকে ফাঁসি দেওয়া হলে আমি ধন্য মনে করব৷ আমার জন্য গর্বিত হবে আমার জন্মস্থান৷’’ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *