নয়াদিল্লি: কৃষি বিলকে কেন্দ্র করে উত্তাল গোটা দেশ৷ কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমে আন্দোলন শুরু করেছে কংগ্রেস৷ মঙ্গলবার কংগ্রেসকে এক হাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ তিনি বলেন, বিজেপি সরকারের যে কোনও ভালো কাজের বিরোধিতা করাই কংগ্রেসের স্বভাব৷ শুধু তাই নয় কৃষকদের যন্ত্র পুড়িয়ে আদতে তাঁদেরই অপমান করেছে কংগ্রেস৷
আরও পড়ুন- মাস পড়লেই শুরু হবে আনলক ফাইভ, কীসে কীসে মিলতে চলেছে ছাড়?
কৃষি বিলের প্রতিবাদে দিল্লি গেটের সামনে পঞ্জাব যুব কংগ্রেস কর্মীদের ট্রাক্টর জ্বালানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন প্রধানমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, ‘‘যারা কৃষি বিলের বিরোধিতা করছেন, কৃষকদের যন্ত্র পোড়াচ্ছেন, তাঁরা আসলে কৃষকদেরই অপমান করছেন৷’’ এদিন কৃষি বিলের পক্ষে সওয়াল করেই নমো বলেন, ‘‘সদ্য সমাপ্ত সংসদের বাদল অধিবেশনে কৃষক, শ্রমিক ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়ে একাধিক সংস্কার করা হয়েছে৷ এই সংস্কার কৃষক, শ্রমিক, যুবা ও দেশের মহিলাদের আরও শক্তিশালী করবে৷ কিন্তু কিছু মানুষ নিজেদের স্বার্থে এর বিরোধিতা করছে৷’’ প্রসঙ্গত, ‘অত্যাবশ্যক পণ্য আইন’ সংশোধন, ‘কৃষি পণ্য লেনদেন ও বাণিজ্য উন্নয়ন’ এবং ‘কৃষিপণ্যের দাম নিশ্চিত করতে কৃষকদের সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন চুক্তি’ সংক্রান্ত বিল সংসদে পাশ হওয়ার পর থেকেই সারা দেশজুড়ে ছড়িয়েছে পড়ে কৃষক বিক্ষোভ৷ কৃষকদের দাবি, এই আইনের ফলে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) থেকে বঞ্চিত হতে হবে তাঁদের৷
আরও পড়ুন- মাঝেমধ্যেই হাসির খোরাক হয়ে ওঠে রিপাবলিক টিভি, নেটিজেনদের এমন অভিযোগের কারণ জানেন?
এদিন নমো বলেন, কৃষি বিপণন ব্যবস্থাকে মান্ডির ক্ষুদ্র গণ্ডি থেকে মুক্তি দিতেই এই আইন। মান্ডি আগের মতোই থাকবে৷ তবে তাঁদের পণ্যকে মান্ডিতেই বিক্রি করতে হবে, সেই দায় আর থাকবে না কৃষকদের। যাঁরা যেখানে ইচ্ছা সেখানে তাঁদের ফসল বিক্রি করতে পারবে৷ ন্যূনতম সহায়ক মূল্য থেকেও বঞ্চিত হবেন না কৃষকরা৷ তাঁর কথায়, ‘‘সরকার যখন কৃষকদের অধিকার দিতে চাইছে, তখন কিছু মানুষ তার বিরোধিতা করছে৷’’
রাম মন্দির থেকে সার্জিকাল স্ট্রাইক নিয়ে কংগ্রেসের বিরোধিতার বিরুদ্ধেও এদিন সুর চড়ান নরেন্দ্র মোদী৷ তিনি বলেন, রাম মন্দির নির্মাণেও বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস৷ চার বছর আগে যখন সার্জিকাল স্ট্রাইকে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল আমাদের জওয়ানরা, তখনও প্রমাণ চেয়েছিল কংগ্রেস৷ রাজনৈতির ফায়দা লুটতেই সব কিছুর প্রতিবাদের রাস্তায় নেমেছে হাত শিবির৷