নয়াদিল্লি: দিল্লির জামনগরে ইডি’র দফতরে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তদন্তে সবরকমের সহযোগিতার করার জন্য তিনি প্রস্তুত বলে জানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক৷ ইডি-র দফতরে হাজিরা দিতে গতকালই রাজধানীতে পৌঁছে যান অভিষেক৷ উল্লেখ্য, কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিষেক ও রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)৷
আরও পড়ুন- CID-র তলবে হাজিরায় ‘না’ শুভেন্দুর, আজ ভবানীভবনে যাচ্ছেন না বিরোধী দলনেতা
এদিন নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট আগেই ইডি-র দফতরে পৌঁছে যান তৃণমূল সাংসদ৷ ইডির তলবে দিল্লি যাওয়ার আগে রবিবার কলকাতায় দাঁড়িয়ে অভিষেক বলেছিলেন, যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। সেইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিকভাবে লড়াইয়ে ব্যর্থ হয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সির মাধ্যমে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি। এদিন ইডি-র দফতরে ঢোকার আগেও তাঁর গলায় শোনা যায় একই সুর৷ এদিন ইডি-র দফতরে ঢোকার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘আমাকে ৬ তারিখের সমন পাঠানো হয়েছিল৷ আমি যে কোনও তদন্তের সম্মুখীন হতে প্রস্তুত৷ তারা তাদের কাজ করছে৷ আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখুক অফিসাররা৷ দেশের নাগরিক হিসাবে সহযোগিতা করাটা আমার কর্তব্য৷ বাকিটা দেশের মানুষ বিচার করবে৷’’
গতকাল কলকাতায় দাঁড়িয়ে অভিষেক বলেছিলেন, এর পিছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা রয়েছে৷ সেই বক্তব্যের ইঙ্গিত আজও তাঁর বক্তব্যে খুঁজে পাওয়া যায়৷ আভিষেক আরও একবার বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনও প্রমাণ নেই৷ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন৷ এবং যা শাস্তি দেওয়া হবে তিনি তা মেনে নেবেন৷ আজ প্রথমবার ইডি-র মুখোমুখি হচ্ছে অভিষেক৷ তাঁর জন্য একটি প্রশ্ন তালিকা তৈরি করা হয়েছে৷ সিবিআই-এ কাছ থেকে এই মামলা এসেছে ইডি-র হাতে৷ প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং আইনে তদন্ত করছে ইডি৷ আজ ১১টার কিছু আগেই দিল্লি গেটের কাছে জামনগরের অফিসে এসে পৌঁছন অভিষেক৷
আরও পড়ুন- সংক্রমণ সামান্য কমলেও ঊর্ধ্বমুখী দেশের অ্যাকটিভ কেস! বাড়ছে চিন্তা
এদিকে, অভিষেকের মন্তব্যের পাল্টা বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, আগে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করুন। তাঁর সঙ্গীরা আগেই ধরা পড়েছে৷ এবার ওঁকেও ডেকে পাঠানো হয়েছে। তবে বদলা নিতে শুভেন্দু অধিকারীকে জেকে পাঠিয়েছে সিআইডি৷