লখনউ: রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচন শুরুর কিছু আগেই রাজ্যবাসীকে টুইটে বার্তা দিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ভোটারদের সাবধান করে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, বিবেচনা করে ভোট না দিলে বা ভুল সিদ্ধান্ত নিলেই উত্তরপ্রদেশ পশ্চিমবঙ্গ হয়ে যেতে পারে। কাশ্মীর এবং কেরলের নামও নিয়েছিলেন তিনি। তাঁর সেই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। কিন্তু কেন সেই মন্তব্য করেছিলেন যোগী? তার উত্তর দিলেন তিনি নিজেই।
আরও পড়ুন- ‘রাজনীতিতে ধৈর্য হারালে পতন হবেই’, বাবুলকে খোঁচা তথগতর, পাল্টা দিলেন তৃণমূল নেতা
এদিন এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিয়ে তিনি জানান, রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেছে? এর আগে যথেচ্ছ সন্ত্রাস, হিংসার ঘটনা দেখা যেত। পশ্চিমবঙ্গে কি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে? প্রশ্ন তোলেন তিনি। এর পাশাপাশি যোগী আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ওপর অত্যাচার হয়েছে। হাজার হাজার কর্মীকে মারা হয়েছে, খুন করা হয়েছে। বুথ দখল করে ভোট হয়েছে। একই জিনিস কেরলেও হয়েছে। দুই রাজ্যেই রাজনৈতিক সন্ত্রাস, হিংসার ঘটনা ঘটেছে প্রবলভাবে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে সে ধরণের কোনও ঘটনা ঘটেনি। এমনই দাবি আদিত্যনাথের।
উল্লেখ্য, আগেই তিনি এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছিলেন কেন্দ্রে ও রাজ্যে ‘ডাবল ইঞ্জিন’ সরকারের নিষ্ঠা এবং প্রতিশ্রুতি রয়েছে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশকে কাশ্মীর, পশ্চিমবাংলা বা কেরল হতে বেশি সময় লাগবে না। এই পাঁচ বছরে অনেক বিস্ময়কর ঘটনা ঘটেছে। মানুষ মিস করলে গত পাঁচ বছরের সমস্ত পরিশ্রম নষ্ট হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, উত্তর প্রদেশে প্রথম দফায় ৫৮ টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট ছিল। ৫৮ টি আসনের মধ্যে ৯ টি সংরক্ষিত আসন। জাট অধ্যুষিত পশ্চিম উত্তর প্রদেশের ৩৭টি কেন্দ্র এবং দোয়াব অঞ্চলের বাকি ২১ টি বিধানসভা আসনে ভোট হয়েছে৷ শামলি, মুজাফফরনগর, মিরাট, বাগপত, গাজিয়াবাদ, হাপুর, গৌতম বুদ্ধ নগর, বুলন্দশহর, আলিগড়, আলিগার্গ, মথুরা এবং আগ্রার কেন্দ্রগুলিতে ভোট হয়েছে। প্রথম দফার ভোটে ৬২৩ জন প্রার্থী ভাগ্য ইভিএম বন্দি৷