নয়াদিল্লি: একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘিরে এখন কার্যত শিহরিত গোটা দেশ। শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের ঘটনায় আপাতত পুলিশের জালে অভিযুক্ত প্রেমিক খুনি আফতাব। জানা গিয়েছে, প্রথমে শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে পরে তার দেহ ৩৫ টুকরো করে ১৮ দিন ধরে অন্যত্র ফেলে দিয়ে এসেছে সে। পুলিশের কাছে নাকি নিজেই এই কথা স্বীকার করেছে আফতাব। এখন শ্রদ্ধার বাবা চাইলেন তার ফাঁসি। একই সঙ্গে এই ঘটনায় উঠে এল ‘লাভ জিহাদ’ বিষয়টিও।
আরও পড়ুন- পাথরের খনিতে ধস, মিজোরামে একাধিকের মৃত্যুর আশঙ্কা
আফতাবের সঙ্গে তার মেয়ের সম্পর্ক কোনও দিনই মেনে নেননি শ্রদ্ধার বাবা-মা। তাই মেয়ে ভিন ধর্মী আফতাবের সঙ্গে থাকুক সেটাও কোনও ভাবেই পছন্দ ছিল না তাদের। তবে মেয়ের সঙ্গে যে এমন ঘটনা ঘটবে তা স্বপ্নেও কল্পনা করেননি কেউই। শ্রদ্ধার পরিণতিতে তাই ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছে তার পরিবার। শ্রদ্ধার বাবা চাইছেন আফতাবের ফাঁসি হোক। পাশাপাশি তিনি পুলিশের কাছে এও দাবি করেছেন যে, এই ঘটনায় ‘লাভ জিহাদ’ বিষয়টি কাজ করতে পারে। শ্রদ্ধার বাবা এও জানিয়েছেন যে, তাঁর পুলিশের ওপর ভরসা আছে। তদন্ত হয়ে আফতাবের সঠিক সাজা হবে বলেই তিনি আশাবাদী।
প্রসঙ্গত, পুলিশি জেরায় আফতাব জানিয়েছে, বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন শ্রদ্ধা। এ নিয়ে অশান্তির জেরেই তাঁকে খুন করেছেন। পরে জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধাকে খুনের পর তাঁর দেহ কেটে ৩৫টি টুকরো করা হয়। তার পর সেগুলি বিভিন্ন জায়গায় ছড়ানো হয়। এমনকি দেহের টুকরো বাড়িতে রাখতে আলাদা নতুন ফ্রিজ পর্যন্ত কিনেছিল আফতাব। এই ঘটনায় তার মানসিক অবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।