ভারতের অর্ধেকের বেশি জনসংখ্যা এখনও ৩০ বছরের নীচে!

ভারতের অর্ধেকের বেশি জনসংখ্যা এখনও ৩০ বছরের নীচে!

নয়াদিল্লি: ভারতীয় জনসংখ্যায় তারুণ্যের ছোঁয়া৷ আমাদের দেশে মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশের বয়স ১৫ বছরের কম৷ ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন এক অষ্টমাংশেরও কম। তবে, গত পাঁচ বছরে তরুণ জনসংখ্যার অনুপাত সামান্য হ্রাস পেয়েছে৷ ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে-৪ (২০১৫-১৬) এবং NFHS- ৫ এর মধ্যে এই পার্থক্য স্পষ্ট৷ গত সপ্তাহে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, অনূর্ধ্ব-১৫ জনসংখ্যা ২ শতাংশ কমেছে৷ ২৯% থেকে তা পৌঁছেছে ২৭% -এ৷ অন্যদিকে, ষাটোর্ধ্ব জনসংখ্যায় এসেছে কখানিক বৃদ্ধি৷ ১০% থেকে তা বেড়ে হয়েছে ১২%৷ 

আরও পড়ুন- একাধিক শব্দ ‘নিষিদ্ধ’ করল সংসদ, কী কী আছে তালিকায়

NFHS-৪-এ  ৫৫.৫% এর তুলনায় অর্ধেকেরও বেশি জনসংখ্যা (৫২%) রয়েছে ৩০ বছরের নীচে। NFHS-এ দেশের জনসংখ্যাকে 0-৪ বছর থেকে ৭৫-৭৯ পর্যন্ত পৃথক গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে৷ যেখানে অশিতিপরদের একটি একক বয়সের গ্রুপে গণনা করা হয়েছে। বয়সের পিরামিডে দেখা গিয়েছে যে, ভারতের জনসংখ্যা তরুণ৷ গড় আয়ুও কম৷ যা উন্নয়নশীল দেশগুলিতে খুবই সাধারণ। 

একটি সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, ভারত যখন স্বাধীন হয়েছিল ১৯৪৭ সালে দেশের গড় বয়স ছিল মাত্র ৩২ বছর। অর্থাৎ সেই সময়ে ভারতীয়রা গড়ে মাত্র ৩২ বছর বাঁচতেন৷ এখন গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে ৬৯ বছর। অর্থাৎ, স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয়দের গড় বয়স দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। স্যাম্পল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের (এসআরএস) নয়া রিপোর্টে উঠে এসেছে এই তথ্য৷ যদিও বিশ্বের গড় আয়ুর চেয়ে এখনও ভারতীয়দের আয়ু অনেকটাই কম। বিশ্বে গড় আয়ু ৭২ বছর ৬ মাস। 

এদিকে, NFHS-৫ ৬,৩৬,৬৯৯ টি পরিবারের ২৭,৬৮,৩৭১ জনের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এনএফএইচএস একটি পরিবারকে একজন ব্যক্তি বা সংশ্লিষ্ট বা অসম্পর্কিত ব্যক্তির গোষ্ঠী হিসাবে সংজ্ঞায়িত করে যারা একই আবাসিক ইউনিট(গুলি) তে একসঙ্গে থাকেন৷ যারা পরিবারের প্রধান হিসাবে একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বা মহিলাকে স্বীকৃতি দিয়ে থাকেন, যাঁরা একই গৃহস্থালির ব্যবস্থায় থাকেন এবং যাঁরা একক হিসাবে বিবেচিত হন।

২০১৫-১৬ এবং ২০১৯-২১ এর মধ্যে পরিবারের গড় আয়তন কিছুটা কমেছে (৪.৬ জন থেকে ৪.৪)। এবং পরিবারের এক-ষষ্ঠাংশেরও বেশি (১৮%) মহিলা প্রধান রয়েছেন৷