নয়াদিল্লি: আগামী ১৮ জুলাই থেকে যে বাদল অধিবেশন শুরু হবে তাতে বক্তব্য রাখার সময় ব্যবহার করা যাবে না একাধিক শব্দ। বিভিন্ন শব্দকে ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করেছে সংসদ। ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আবারও এক নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, মূলত যে শব্দগুলি প্রয়োগ করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করা হত ঠিক সেই সেই শব্দগুলিকেই বাদ দেওয়া হয়েছে। বিরোধী সাংসদদের মুখে ‘লাগাম’ পরানোর চেষ্টা করছে মোদী সরকার, এমনটাই দাবি। এই নিয়ে আলাদাভাবে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস শিবিরও।
আরও পড়ুন- বিধায়কের পরে কি এবার সাংসদরাও সঙ্গ ছাড়ছেন? উদ্ধবের বৈঠকে অনুপস্থিত বহু
কোন কোন শব্দে লাগাম টানা হল তাহলে? জানা গিয়েছে, ‘নিষিদ্ধ’ হওয়া শব্দগুলির একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে ‘জুমলাবাজি’, ‘কোভিড স্প্রেডার’, ‘দাঙ্গা’, ‘দালাল’, ‘গদ্দার’, ‘গিরগিট’, ‘স্বৈরাচারী’, ‘বিশ্বাসঘাতকতা’, ‘নাটক’, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’, এই ধরণের শব্দ আছে। অনেক ইংরাজি শব্দও বাতিল করা হয়েছে, তাদের মধ্যে আছে ‘ব্লাডশেড’, ‘ক্রোকোডাইল টিয়ারস’-এর মতো শব্দ। খুঁটিয়ে দেখলে বোঝা যাবে, এই শব্দগুলির বেশিরভাগ দিয়েই আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা তাঁর সরকারকে আক্রমণ করেছে বিরোধীরা। তাই এখন এই শব্দগুলিকে ‘অসংসদীয়’ বলা হচ্ছে বলেই মত বিরোধী পক্ষের।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন জানিয়েছেন, তিনি এই শব্দগুলি ব্যবহার করবেন। তাতে যদি তাঁকে সাসপেন্ড করাও হয় তাতেই তাঁর কিছু এসে যায় না। কারণ তিনি মনে করছেন, সাংসদদের ওপর হাস্যকর নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ‘মৌলিক’ শব্দগুলি তিনি ব্যবহার করা থেকে একদম পিছপা হবে না বলেই স্পষ্ট করেছেন।