নয়াদিল্লি: বিচারব্যবস্থার সঙ্গে কেন্দ্রের কার্যত সংঘাত চলছে। কলোজিয়ামের পদ্ধতির বিরোধিতা করছে সরকার এবং আগেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে বড় আবেদন করেছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। বিচারপতি নিয়োগের প্রক্রিয়ায় সরকারি প্রতিনিধিরা সামিল হোক, এমনই দাবি তাঁর। এই ইস্যু নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও মন্তব্য করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই বলা যায়, এই বিষয়ের জন্য আপাতত শোরগোল দেশে। এরই মাঝে আবার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী। কী বললেন রিজিজু?
আরও পড়ুন: তৃণমূলের এক মহিলা আইনজীবী সরকারি প্যানেল থেকে বাদ, বিচারপতি মান্থার এজলাসে ছিলেন
‘বিচারপতিদের তো আর ভোটে লড়তে হয় না’। এমন মন্তব্য শোনা গেল কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর তরফ থেকে। তাঁর প্রশ্ন, বহু কাল ধরে যে নিয়ম চলে আসছে তার পরিবর্তন হবে না কেন? রিজিজু জানাচ্ছেন, নিজেদের মতামত প্রকাশ করার একাধিক উপায় এখন রয়েছে সাধারণ মানুষের কাছে। রাজনীতিবিদদের প্রত্যেকবার ভোটে জিতে আসতে হচ্ছে। ক্ষমতায় থাকার জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। কিন্তু বিচারপতি হয়ে যাওয়ার পর মানুষের বিচারের ঊর্ধ্বে উঠে যান আইনজীবীরা। মত তাঁর। তিনি আরও বলেন, বিচারপতিদের রাজনৈতিক নেতাদের মতো জনতার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় না।
এই প্রেক্ষিতেই তাঁর মূল দাবি, বিচারপতি নিয়োগের প্রক্রিয়ায় সরকারি প্রতিনিধিদেরও সামিল করতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের অধিকার দিতে হবে সরকারের প্রতিনিধিদের। ইতিমধ্যেই এই মর্মে তিনি চিঠি দিয়েছেন দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতিকে। জানা গিয়েছে, এই চিঠি দিয়ে আইনমন্ত্রী জানতে চেয়েছেন যে, কী ভাবে এই বিষয়টিকে কার্যকর করা যায়। রিজিজুর মতে, দেশের সাধারণ জনগণের কাছ স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই এই পদক্ষেপ করা জরুরি। জনপ্রতিনিধিদের মতামত অবশ্যই দরকারি বলে মনে করছেন তিনি।