নয়াদিল্লি: বিগত কয়েক দিন ধরে আবার দেশের কোভিড গ্রাফ নিয়ে চিন্তা বেড়েছে। দৈনিক সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ হওয়াই স্বাভাবিক। একাধিক রাজ্যের পরিসংখ্যানে বদল হলেও সবথেকে বেশি চিন্তা আবার বেড়েছে মহারাষ্ট্র, দিল্লি এবং হালে পশ্চিমবঙ্গ নিয়েও। কারণ সেখানে করোনা গ্রাফ শেষ কয়েক দিন থেকে ঊর্ধ্বমুখী। মাঝে অনেক রাজ্যে কোভিড বিধি শিথিল করে দিয়েছিল। কিন্তু এখন আবার নতুন করে নিয়ম লাগু করা হচ্ছে। মাস্কও বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: খুব দ্রুত আগমণ ঘটাবে ‘ডিজিজ এক্স’! শঙ্কিত বিজ্ঞানীরা কার্যত দিশাহীন
কেন্দ্রীয় তথ্য বলছে, আজ দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ০৯২ জন। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। আবার একদিন সুস্থ হয়েছে ১৪ হাজার ৬৮৪ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৮ লক্ষ ৫১ হাজার ৫৯০ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ০৯ হাজার ৫৬৮। এদিকে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ২৫ হাজার ১৬৮ জনের। আপাতত দেশের সুস্থতার হার ৯৮.৫৪ শতাংশ। টিকাকরণও চলছে দাপটের সঙ্গে। এতদিনে মোট টিকা দেওয়া হয়েছে ১৯৭ কোটি ৮৪ লক্ষ ৮০ হাজার ০১৫ ডোজ। আর গত ২৪ ঘণ্টায় দেওয়া হয়েছে ৯ লক্ষ ০৯ হাজার ৭৭৬ ডোজ।
আতঙ্ক আরও বাড়ছে কারণ বিশেষজ্ঞরা লক্ষ্য করছেন যে, ফ্লু’র ‘আড়ালে’ বাড়ছে করোনা, অধিকাংশই বুঝতে পারছেন না। তথ্য বলছে, ফ্লুয়ের নানা উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের ৩০ শতাংশ বা তার বেশিই করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। সেই আক্রান্তদের আবার প্রায় ৮০ শতাংশ টিকা নেননি। মনে করা হচ্ছে, ফ্লু এবং করোনার উপসর্গ যেহেতু প্রায় এক তা অনেকেই বুঝতে পারছেন না কী হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, জ্বর, গলা ব্যথা, গা-হাত-পায়ে ব্যথা, সর্দি, কাশি, নাক জ্বালা, এই সব উপসর্গ দেখা দিলে আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এই উপসর্গের আড়ালেই হয়ে যাচ্ছে কোভিড।