সক্রিয় রোগী প্রায় ৭০ হাজার, দেশের কোভিড গ্রাফে চিন্তার ভাঁজ আবার

সক্রিয় রোগী প্রায় ৭০ হাজার, দেশের কোভিড গ্রাফে চিন্তার ভাঁজ আবার

নয়াদিল্লি: দেশের করোনা গ্রাফ নিয়ে চিন্তা মাঝে বেড়েছিল কারণ নতুন কোভিড ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছিল। সম্প্রতি দেশে ১০ হাজারের ওপরে উঠে গিয়েছে কোভিড গ্রাফ। অবশ্যভাবেই বিগত কয়েক দিনে আবার উদ্বেগ বেড়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় এক লাফে অনেকটা বেশি হয়েছে দৈনিক সংক্রমণ। মহারাষ্ট্র, দিল্লি সহ কয়েকটি রাজ্যকে নিয়ে বেড়েছে চিন্তা। মাঝে অনেক রাজ্যে কোভিড বিধি শিথিল করে দিয়েছিল। কিন্তু এখন আবার নতুন করে নিয়ম লাগু করা হচ্ছে সতর্ক থাকার জন্যই।

আরও পড়ুন- ঘোষণাই সার, ট্রেনে বেডরোল কোথায়? বিশেষ নিয়ম ভারতীয় রেলে

আজ কেন্দ্রীয় তথ্য বলছে, দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজার ২১৬ জন। শুধু মহারাষ্ট্রেই একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজারের বেশি। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। আবার একদিনে সুস্থ হয়েছে ৮ হাজার ১৪৮ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৮৪৫ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৬৮ হাজার ১০৮। এদিকে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৮৪০ জনের। আপাতত দেশের সুস্থতার হার ৯৮.৬৩ শতাংশ। টিকাকরণও চলছে দাপটের সঙ্গে। এতদিনে মোট টিকা দেওয়া হয়েছে ১৯৬ কোটি ৪২ হাজার ৭৬৮ ডোজ। আর গত ২৪ ঘণ্টায় দেওয়া হয়েছে ১৪ লক্ষ ৯৯ হাজার ৮২৪ ডোজ ভ্যাকসিন।

এদিকে আবার সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অফ কেমব্রিজ এবং ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন যৌথভাবে গবেষণা চালিয়েছিল। এই গবেষণা থেকে উঠে এসেছে, কোভিডের প্রভাবে শরীরে কোষের বয়স স্বাভাবিকের তুলনায় ২০ গুণ গতিতে বৃদ্ধি পেতে পারে। আর এই প্রভাব সবথেকে বেশি পড়ছে মস্তিষ্কে। জানান হয়েছে, মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে শরীরের বয়স ২০ বছর পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে কোভিড, অর্থাৎ শরীরের অঙ্গগুলিতে এর প্রভাব মারাত্মক। গোটা শরীরের ওপর ভাইরাসের কম-বেশি প্রভাব থাকলেও মস্তিষ্কে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়ায় তা স্বাভাবিকভাবেই চিন্তা বাড়াচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আবার হাজার পার দৈনিক সংক্রমণ! দেশে পজিটিভ রেট নিয়ন্ত্রণে

আবার হাজার পার দৈনিক সংক্রমণ! দেশে পজিটিভ রেট নিয়ন্ত্রণে

নয়াদিল্লি: দেশের কোভিডে গ্রাফ নিয়ে আজ কিছুটা চিন্তা বাড়ল বটে। কারণ টেস্টিং বাড়তেই দৈনিক সংক্রমণ হাজার ছাড়িয়ে গেল। এক লাফে মৃত্যুও বাড়ল। সব মিলিয়ে বিগত কিছু দিন ধরেই করোনা গ্রাফ কার্যত একই জায়গায় ঘোরাফেরা করছে দেশে। বিধিনিষেধ উঠে গেলেও কোনও ভাবেই যাতে সংক্রমণ মাথাচাড়া না দেয়, তার জন্য টিকাকরণের পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে জোর দেওয়া হচ্ছে টেস্টিংয়ে। তার কারণেই আজ বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা।

আরও পড়ুন- চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করলে রাশিয়া রক্ষাকর্তা হবে না! ভারতকে ‘বার্তা’ আমেরিকার

কেন্দ্রীয় তথ্য বলছে, আজ দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ০৮৬ জন, এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৭১ জনের। আবার একদিন সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ১৯৮ জন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১১ হাজার ৮৭১। এদিকে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ২১ হাজার ৪৮৭ জনের। আপাতত পজিটিভিটি রেট ০.২৩ শতাংশ। টিকাকরণও চলছে দাপটের সঙ্গে। এতদিনে মোট টিকা দেওয়া হয়েছে ১৮৫ কোটির বেশি ডোজ। ইতিমধ্যে দেশে কোভিড বিধি প্রায় প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং অনেকে রাজ্যে মাস্ক ব্যবহারেও শিথিলতা জারি করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, দেশ পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার পথেই।

গত শুক্রবার থেকেই দেশের সমস্ত কোভিডবিধি সমাপ্ত হয়েছে। তবে ভিড়ে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এবং নিয়মিত হাত ধোয়ার শর্ত ভুললে চলবে না বলেই জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কারণ কোভিড নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, তা বিদায় নেয়নি৷ যদিও সবচেয়ে বেশি করোনার কবলে পড়া মহারাষ্ট্রেও মাস্ক পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারও করোনা বিধি শিথিল করে নাইট কার্ফু সহ এই সংক্রান্ত যাবতীয় বিধি প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। বিধি নিষেধ প্রত্যাহার করে নিয়েছে দিল্লিও৷ তবে খোলা জায়গায় ভিড়ের মধ্যে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *