২০ হাজারের নীচে নামল দৈনিক সংক্রমণ, কিছুটা স্বস্তি দেশে

২০ হাজারের নীচে নামল দৈনিক সংক্রমণ, কিছুটা স্বস্তি দেশে

নয়াদিল্লি: করোনা ছাড়াও একাধিক রোগ নিয়ে এখন চিন্তা দেশের মানুষের, কিন্তু করোনার দৈনিক সংক্রমণ ত্রাস যে আরও বাড়াচ্ছে তাও অস্বীকার করা যায় না। শেষ কয়েক দিনে অনেকটা বেড়েছিল দেশের কোভিড গ্রাফ, কিন্তু আজ আবার সংক্রমণ ২০ হাজারের নীচে চলে এসেছে। যদিও চিকিৎসক মহলের পরামর্শ, সতর্ক থাকতে হবে। করোনার মতোই আবার মাঙ্কিপক্স নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে ভারতের। ইতিমধ্যেই একাধিক রোগী পাওয়া গিয়েছে।

আরও পড়ুন: সুস্থতা বাড়ল বঙ্গের, সংক্রমণ কিঞ্চিৎ কমলেও সার্বিক স্বস্তি নেই

কেন্দ্রীয় তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৪০৬ জন, একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৪৯ জনের। গত একদিনে সুস্থ হয়েছেন ১৯ হাজার ৯২৮ জন। দেশের সক্রিয় রোগী বর্তমানে ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৭৯৩ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৬৪৯ জনের। এদিকে পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৩৪ লক্ষ ৬৫ হাজার ৫৫২ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। ভারতের সুস্থতার হার ৯৮.৫০ শতাংশ। অন্যদিকে টিকাকরণে ২০০ কোটি ডোজ ছাপিয়ে গিয়েছে দেশ। মোট টিকার পরিমাণ ২০৫ কোটি ৯২ লক্ষের বেশি।  

তবে করোনা আগের মতো মারাত্মক প্রভাব নিয়ে না এলেও চিকিৎসকরা করোনা থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। মার্কিন চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনা থেকে সেরে ওঠার পরেও ১২ ধরনের রোগের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। যার জেরে হাসপাতালেও ছুটতে হচ্ছে বার বার। সময় মতো চিকিৎসা না করালে মৃত্যুও হতে পারে৷ সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে করোনা থেকে সেরে ওঠার পরে অনেকে টাইপ টু ডায়াবেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। মার্কিন সমীক্ষায় বলা হয়েছে, গত বছর যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁদের পরবর্তী এক বছরের মধ্যে স্বাস্থ্যের গুরুতর সমস্যার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

একদিনে মৃত্যু বাড়ল অনেকটা! সুস্থতা এখনও স্বস্তি দিচ্ছে দেশকে

একদিনে মৃত্যু বাড়ল অনেকটা! সুস্থতা এখনও স্বস্তি দিচ্ছে দেশকে

নয়াদিল্লি: তৃতীয় ঢেউয়ের আতঙ্ক কাটিয়ে উঠেছে দেশ। করোনা ভাইরাস চতুর্থ ঢেউ আসবে এই রকম কোনও দাবি এখন আর করা হচ্ছে না। অধিকাংশের মতেই, করোনার চতুর্থ ঢেউ আর কোনও প্রভাব ফেলবে না। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দেশের কোভিড গ্রাফে আরও হেরফের হল আজ। দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি কিঞ্চিৎ বাড়ল দৈনিক মৃত্যু। অ্যাকটিভ কেস তুলনামুলকভাবে নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।

আরও পড়ুন- শুরু হচ্ছে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের করোনা টিকাকরণ!

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আজ দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৫৬৮। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৯৭ জনের। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডের বলি ৫ লক্ষ ১৫ হাজার ৯৭৪ জন। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ৪ হাজার ৭২২। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৪ লক্ষ ৪৬ হাজার ১৭১ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে এখন দেশে সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন ৩৩ হাজার ৯১৭ জন। দেশের সুস্থতার হার ৯৮.৭২ শতাংশ। একই সঙ্গে দেশে মোট টিকা দেওয়া হয়েছে ১৮০ কোটি ৪০ লক্ষের বেশি ডোজ। তাহলে কি এটাই করোনার ইতি বলে মানা যাবে? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যা পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছে তাতে করোনাভাইরাস মানুষের মধ্যে থেকে যাবে, তবে আর বাড়াবাড়ি সৃষ্টি করবে না। তাই এই নিয়ে আরও আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। তাদের বক্তব্য, প্যানডেমিক এবং এন্ডেমিক হওয়ার পথেই চলে এসেছে।

এদিকে আবার আগামী ১৬ মার্চ থেকে দেশে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের করোনা টিকাকরণ শুরু হবে। এছাড়াও ষাটোর্ধ্বদের ক্ষেত্রে প্রিকশন ডোজের ক্ষেত্রে কোমর্বিডিটি যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তাও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল থেকেই ১২, ১৩ ও ১৪ বছর বয়সীদেরকে আগামী ১৬ মার্চ থেকে করোনা টিকা দেওয়া হবে। এছাড়াও ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরা সহজেই প্রিকশন ডোজ পাবেন। কেন্দ্রীয় সরকার ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের বায়োলজিক্যাল-ই সংস্থার কোর্বেভ্যাক্স টিকা দেবে। ইতিমধ্যেই ১৫ বছর থেকে ১৮ বছর বয়সীদের  করোনা টিকা প্রদানের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে টিকাকরণ চলছে দেশে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *