নয়াদিল্লি: দেশের করোনা গ্রাফ নিয়ে চিন্তা মাঝে বেড়েছিল কারণ নতুন কোভিড ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছিল। তবে সম্প্রতি দেশে দু’হাজারের নীচে নেমেছিল কোভিড গ্রাফ। কিন্তু বিগত কয়েক দিনে আবার উদ্বেগ। গত ২৪ ঘন্টায় এক লাফে অনেকটা বেশি হয়েছে দৈনিক সংক্রমণ। হিসেব বলছে, গত তিন মাসে সর্বোচ্চ দেশের করোনা সংক্রমণ হয়েছে আজ। কয়েকটি রাজ্যকে নিয়ে বেড়েছে চিন্তা। মাঝে অনেক রাজ্যে কোভিড বিধি শিথিল করে দিয়েছিল। কিন্তু এখন আবার নতুন করে নিয়ম লাগু করা হচ্ছে সতর্ক থাকার জন্যই।
আরও পড়ুন: রোগের নাম শোনেনি এমন দেশেও ‘মাঙ্কিপক্স’! প্রবল চিন্তায় WHO
আজ কেন্দ্রীয় তথ্য বলছে, দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ৩২৯ জন। শুধু মহারাষ্ট্রেই একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮১ জন। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। আবার একদিনে সুস্থ হয়েছে ৪ হাজার ২১৬ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৬ লক্ষ ৪৮ হাজার ৩০৮ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪০ হাজার ৩৭০। এদিকে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৭৫৭ জনের। আপাতত দেশের সুস্থতার হার ৯৮.৬৯ শতাংশ। টিকাকরণও চলছে দাপটের সঙ্গে। এতদিনে মোট টিকা দেওয়া হয়েছে ১৯৪ কোটি ৯২ লক্ষ ৭১ হাজার ১১১ ডোজ। আর গত ২৪ ঘণ্টায় দেওয়া হয়েছে ১৫ লক্ষ ০৮ হাজার ৪০৬ ডোজ ভ্যাকসিন।
এদিকে ‘মাঙ্কিপক্স’ নিয়ে অন্য আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে, চিন্তা ‘টম্যাটো ফ্লু’ নিয়েও। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পুনরায় সতর্কতা অবলম্বন করতে বলছে। মহামারি যে এখনও শেষ হয়নি, তা জানিয়ে রাখছে। যদিও ভারত সরকার ইতিমধ্যেই সতর্কতা অবলম্বন করে নির্দেশিকা জারি করেছে। বাংলার একাধিক পড়শি রাজ্য তথা দক্ষিণ ভারতের অনেক রাজ্যে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে বহু শিশু এমন খবর মিলছে। এই রোগের মূল উপসর্গ প্রবল জ্বর এবং র্যাশ। ওড়িশা থেকে কেরল, তামিলনাড়ু সহ একাধিক রাজ্য মিলিয়ে প্রায় শতাশিক শিশু এই রোগে সংক্রমিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।