হায়দরাবাদ: সোশ্যাল মিডিয়ার বিরুদ্ধে মাঝে মাঝেই সাধারণ মানুষকে মুখ খুলতে দেখা যায়। কিন্তু এই সোশ্যাল মিডিয়া বলা ভালো নেটিজেনরা অসাধ্য সাধন করতে পারে। তার প্রমাণ আগে বহুবার পাওয়া গেছে। তা সে দুরারোগ্য রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা হোক বা জীবন যুদ্ধে প্রায় হেরে যাওয়া কোনও মানুষের নতুন আশার আলো দেখানো। প্রতিক্ষেত্রে এক্স ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে কোনও পোস্ট বা ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া।
আরও পড়ুন- ঘোষণাই সার, ট্রেনে বেডরোল কোথায়? বিশেষ নিয়ম ভারতীয় রেলে
ঠিক তেমনি এক ঘটনার সাক্ষী থাকল হায়দরাবাদ। বাবার দোকানে ইফতার বিক্রি নেই। ১০ বছরের ছেলে সোশ্যাল মিডিয়াতে দোকানের একটি ভিডিও পোস্ট করে। আর সেই ভিডিও ঝড়ের থেকেও দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে। আর তাতেই এক ঝটকায় দোকানের বিক্রি কয়েকগুন বেড়ে যায়। হায়দরাবাদের হালিম দোকানের মালিক মহম্মদ ইলিয়াস জানান, ‘দোকানে ইফতার একদম বিক্রি হচ্ছিল না। সারাদিনে ১০ প্লেটও বিক্রি হতো না। আমার ছেলে দোকানের ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেয়। তারপর থেকেই দোকানের বিক্রি হু হু করে বেড়ে যায়। এখন দোকানের সামনে লাইন পড়ে। যেটা আমি কল্পনাও করতে পারতাম না। সানিয়া মির্জার বোনও আমাদের দোকানে এসেছিলেন। আমরা খুব তাড়াতাড়ি হোম ডেলিভারি শুরু করব বলে ঠিক করেছি।’
সাংবাদিকদের মহম্মদ আদনান বলেন, ‘বাবার দোকানে একদম বিক্রি হচ্ছিল না। আমাদের দোকানের ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পর দোকানের বিক্রি অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। এখন দিনে ১৫০টির বেশি প্লেট ইফতার বিক্রি হয়।’ ছোট্ট আদনান এখন দোকানের কাজে বাবাকে সাহায্য করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনরা আদনানকে শুভেচ্ছা বার্তায় ভরিয়ে দিয়েছেন। কেউ বলছেন, স্কুলে ভর্তি করিয়ে শিশুটির পড়াশোনার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। তার বুদ্ধি বলে দিচ্ছে ছোট্ট শিশুটি উপযুক্ত প্রশিক্ষণ পেয়ে অনেক দূর যাবে। কেউ আবার বলছেন, ছোট্ট আদনানের মতো তার বাবার দোকানের খাবারের স্বাদ অতুলনীয়। আবার কেউ কমেন্ট বক্সে লিখছেন, পরিশ্রমের ফল পাওয়া যাবেই। তবে দোকানের ব্যবসায় রাতারাতি এই উন্নতি দেখে খুশি আদনান।