গুয়াহাটি: পোষ্য কুকুরকে ভ্রমণ করবেন বলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতিদিন ফাঁকা করাতেন স্টেডিয়াম। এমন উদাহরণ রেখেছেন এক আইএএস দম্পতি। এই ঘটনা নিয়ে যখন নিন্দার ঝড় দেশ জুড়ে সেখানে অন্য গল্প লিখলেন আইএএস কীর্তি জাল্লি। মানুষের পাশে কী করে দাঁড়াতে হয় তার এক অনন্য নজির রাখলেন তিনি। দেশের সাধারণ মানুষ তাঁর এই আচরণে মুগ্ধ হয়েছে। কী করেছেন তিনি? আসুন জেনে নিই।
আরও পড়ুন- চায়ের চুমুকে লাজুক প্রেম! আফজল-সাবিনার প্রেমকাহিনি মন ছুঁয়েছে নেটিজেনদের
অসমের কাছাড় জেলার ডেপুটি কমিশনার পদে রয়েছেন কীর্তি। সবাই জানে যে এই মুহূর্তে বন্যা কবলিত অসমের কী অবস্থা। জায়গায় জায়গায় বিধ্বস্ত মানুষ, কেউ ঘরছাড়া, কেউ নিজের শেষ সম্বলটুকু নিয়ে কোনও ক্রমে বেঁচে রয়েছে। বিপুল সংখ্যক মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ। এই অবস্থায় আইএএস হয়েও কোনও এসি ঘরে বসে থাকেননি কীর্তি। তিনি এলাকা পরিদর্শনে বেরিয়েছেন। তাঁকে দেখা গিয়েছে স্যান্ডেল পায়ে কাদার মধ্যে দিয়ে হাঁটতে। সেই ছবিই সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে এবং সকলেই তাঁর এই ‘কীর্তি’তে জয়জয়কার করছেন। যে ছবি ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা যায়, এক মহিলার হাত ধরে কাদার মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন কীর্তি। তাঁর মুখে এক স্মীত হাসি। শুধু হেঁটে এলাকা পরিদর্শন নয়, বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ তুলে দিতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
অন্যদিকে, স্টেডিয়ামে পোষ্য ঘরানো ওই আইএএস দম্পতিকে অন্য জায়গায় ট্রান্সফার করে দেওয়া হয়েছে, তাও আলাদা আলাদা ভাবে। দম্পতির একজনকে পাঠানো হয়েছে লাদাখে, আর অপরজন পোস্টিং পেয়েছেন অরুণাচল প্রদেশ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ক্রীড়াবিদরা। অন্যদিকে এমন অভাবনীয় ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় কার্যত আলোড়ন পড়েছে দেশজুড়ে। জানা গিয়েছিল, দিল্লির প্রধান সচিব এবং তাঁর স্ত্রী প্রতিদিন তাঁদের পোষ্যকে নিয়ে দিল্লির ত্যাগরাজ স্টেডিয়ামে আসতেন। যে সময় তারা ওই স্টেডিয়ামের সান্ধ্য ভ্রমণ করতেন সেই সময় যাতে তাদের এই ‘ব্যক্তিগত’ সময়ে কোনও ভাবে ব্যাঘাত না ঘটে তার জন্য ক্রীড়াবিদদের স্টেডিয়ামের বাইরে বের করে দরজা বন্ধ করে দিতেন নিরাপত্তারক্ষীরা।