চায়ের চুমুকে লাজুক প্রেম! আফজল-সাবিনার প্রেমকাহিনি মন ছুঁয়েছে নেটিজেনদের

চায়ের চুমুকে লাজুক প্রেম! আফজল-সাবিনার প্রেমকাহিনি মন ছুঁয়েছে নেটিজেনদের

নয়াদিল্লি: ওঁদের দু’জনারই পছন্দ চা৷ যখনই চা খান, চুমুক দেন এক গ্লাস থেকেই৷ খাবারও খান এক থালায়৷ এতে নাকি ভালোবাসা বাড়ে৷ ওঁরা এমনই৷ নিজেদের ভালোবাসার জগতে দারুণ সুখী আফজল-সাবিনা৷ 

আরও পড়ুন- রাজনীতির ময়দানে পিকে’র পাল্টা সুনীল! কংগ্রেসের দায়িত্ব নেওয়া এই ভোটকুশলীকে চিনুন

এদিন বিকেলে দিল্লির একটি চায়ের দোকানে  দেখা মিলল ওঁদের৷ বেঞ্চের উপর বসে এক গ্লাস থেকে ভাগাভাগি করে চা খাচ্ছিলেন তাঁরা। লজ্জায় মাথা অবনত সাবিনার৷ চায়ের গ্লাস হাতে ওঁর দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছে আফজল৷ ওঁদের এই মিষ্টি প্রেমের গল্প সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল৷  আফজলের কথায়, ‘এভাবেই আমাদের চা খেতে ভালো লাগে’৷ লাজুক গলায় সাবিনা বললেন, ‘আমরা একে অপরকে ভালোবাসি৷’ 

২১ বছরের আফজল আর ১৯ বছরের সাবিনার ভালোবাসার গল্প মন ছুঁয়েছে নেটেজেনদের৷ চা ভর্তি গ্লাস হাতে দু’জনের সেই মিষ্টি হাসির ছবিই যেন বলে দিয়ে গেল ওঁদের গভীর প্রেমের গল্প৷ আফজল-সাবিনা ছোট থেকেই একে অপরকে চিনতেন৷ তবে প্রেমের শুরুটা হয় ২০১৯-এ৷ সাবিনার পরিবার তাঁদের এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি৷ সাবিনার বাব-মা চাইতেন না তাঁদের মেয়ে আফজলের সঙ্গে মেলামেশা করুক৷ কিন্তু, বাবা মায়ের অমতেই বিয়ে করেন ওঁরা৷

ভালোবাসার টানে একদিন ঘর ছাড়েন সাবিনা৷ সমস্ত বাঁধন ছিঁড়ে একে-অপরের হাত ধরেন দু’জনে৷ বাড়ি থেকে পালানোর পর গুটি কয়েক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে একটি পার্কে গিয়ে বিয়ে সারেন৷ আফজল পেশায় দিনমজুর৷ দিনে ৩০০ টাকা আয়৷ বিয়ের পর সরাই কেলায় একটি ঘর ভাড়া নিয়েছেন ওঁরা। সেখানেই দু’জনার সংসার। দিনভর স্বামীর ফেরার অপেক্ষায় কাটে সাবিনার৷ সন্ধ্যেয় বাড়ি ফেরে আফজল৷ তারপর এক সঙ্গে বসে তৈরি করেন রাতের খাবার৷ 

আফজলের কথায়, আমি এখন অনেক বেশি দায়িত্বশীল, অনেক বেশি পরিশ্রমী৷ এখন দিনে ৩০০ টাকা আয় হয়৷ কিন্তু এতে সংসার চলে না৷ তাই আমাকে আরও বেশি পরিশ্রম করতে হবে৷’’ অন্যদিকে, হাসি মুখে সাবিনা বলেন, ‘‘এখন আর আমাকে মায়ের বকা খেতে হয় না!’’