নয়াদিল্লি: বগটুই কাণ্ড নিয়ে আজ উত্তাল হয়েছে রাজ্য বিধানসভা। তৃণমূল এবং বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। দুই দলের অনেক বিধায়ক এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ক্ষোভ প্রকাশ করে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছেন। আজ একদিকে এই ঘটনা ঘটেছে, অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তাঁদের মধ্যেও কি বগটূই কাণ্ড নিয়ে আলোচনা হয়েছে? উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন- ‘গুন্ডাবাজি করা বিরোধী দলনেতা’, বিধানসভা ইস্যুতে শুভেন্দুকে বিঁধলেন ফিরহাদ
দু’দিন আগেই বগটূই কাণ্ড নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন। সেদিনই তিনি আবার রাজ্যপালের অপসারণের দাবিও করেন। তারপর আজ অমিত শাহের সঙ্গে রাজ্যপালের সাক্ষাৎ জল্পনা বাড়িয়েছে। যদিও এই বৈঠকে দুজনের মধ্যে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা জানান হয়নি। শুধু রাজ্যপালের সরকারি টুইটার হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে ডাকা হয়েছিল।’ অনেকের মত, রামপুরহাট কাণ্ড তো বটেই, তাঁর অপসারণের বিষয় নিয়েও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন রাজ্যপাল।
গত দিন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, বগটুই-কাণ্ডের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই এই দাবিতে সহমত পোষণ করেছেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি যখন তাঁর সামনে গিয়ে বগটুই প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তখন তাঁর বক্তব্যের সঙ্গে একমত হয়েছেন তিনি। আবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কেও সরানোর আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। সুদীপ জানান, রামপুরহাটের ঘটনা খুব ভাল ভাবেই সামলাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু রাজ্যপাল এই ইস্যুতে যে মন্তব্য করেছেন তা একদম সঠিক নয়। তিনি সাংবিধানিক কাঠামোর বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করছেন।