কলকাতা: বগটুই-হত্যাকাণ্ড নিয়ে আজ উত্তাল হয় বিধানসভা৷ ওয়েলে নেমে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি৷ পরবর্তী সময়ে তৃণমূল এবং বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিরোধী দলনেতা সহ মোট পাঁচ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়েছে৷ শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগ্গা, শঙ্কর ঘোষ, দীপক বর্মন এবং নরহরি মাহাতোকে সাসপেন্ড করেছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। আর গোটা এই ঘটনার জন্য রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দায়ি করেছেন বিজেপিকেই। তাঁর নিশানায় রয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন- বগটুই-কাণ্ডে উত্তাল বিধানসভা, বিধায়কদের হাতাহাতি, সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন শুভেন্দুর
এদিন ফিরহাদ জানান, এর আগেও অনেক বিরোধী দলনেতা দেখেছে বিধানসভা, এক সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন এই পদে। তথ্য দিয়ে সরকারের সমালোচনা করতেন তিনি। কিন্তু আজ যা ঘটল তা ন্যক্কারজনক। এই রকম গুণ্ডাবাজি করা বিরোধী দলনেতা তিনি দেখেননি বলেই দাবি করেছেন ফিরহাদ ববি হাকিম। তাঁর আরও বক্তব্য, এইভাবে অরাজকতা সৃষ্টিকারি নেতাও দেখেননি তিনি এর আগে। এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে বিধানসভার কর্মীদের মারধোর করার অভিযোগও তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারাই বিজেপি বিধায়কদের সাসপেন্ড করার দাবি জানায়। সেই প্রেক্ষিতেই সিদ্ধান্ত নেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিস্ফোরক দাবি করে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর বক্তব্য, সাদা পোশাকের পুলিশ ঢুকিয়ে বিধানসভায় মারধর করা হয়েছে বিজেপি বিধায়কদের।
তাঁর মূল দাবি, কলকাতা পুলিশের কর্মীদের সাদা পোশাকে বিধানসভার ভেতরে ঢোকানো হয়। তারপর পরিকল্পনা করে বিজেপি বিধায়কদের ওপর হামলা চালানো হয়। পুলিশের হামলার পাশাপাশি শাসক দলের বিধায়করা তাদের মারধার করেন বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় নাক ফেটেছে চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের৷ তাঁর অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারী তাঁকে ঘুষি মেরেছেন৷ অসিতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ অন্যদিকে, বিধানসভায় চিকিৎসকের কাছে যেতে হয়েছে কমপক্ষে ৮ জন বিজেপি বিধায়ককে। অন্যদিকে, বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গাকে ঘুসি মারা হয় এবং তাঁর জামাও ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।