বগটুই-কাণ্ডে উত্তাল বিধানসভা, বিধায়কদের হাতাহাতি, সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন শুভেন্দুর

বগটুই-কাণ্ডে উত্তাল বিধানসভা, বিধায়কদের হাতাহাতি, সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন শুভেন্দুর

কলকাতা: বগটুই-হত্যাকাণ্ডে উত্তাল বিধানসভা৷ ওয়েলে নেমে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি৷ বিধানসভা চলছে৷ কিন্তু, রামপুরহাট নিয়ে যাবতীয় সরকারি ঘোষণা কেন বিধানসভার বাইরে করা হচ্ছে? প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ তাঁর দাবি, সংসদীয় ব্যবস্থায় এটা করা যায় না৷ এরই মধ্যে বেনজির ভাবে বিধানসভার কক্ষে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল ও বিজেপি বিধায়করা৷ 

আরও পড়ুন- জেলার বনধে সামনে এল মিশ্র প্রতিক্রিয়া, লাইনে শুয়ে রেল আটকানোর চেষ্টা

রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে এদিন আলোচনার দাবি জানান বিজেপি বিধায়করা৷ অধ্যক্ষ সেই দাবি খারিজ করে দেন৷ এর পরেই অধ্যক্ষের টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান বিরোধী বিধায়করা৷ বারবার অনুরোধ করার পরেও তাঁরা আসন গ্রহণ করেননি৷ সেই সময় কিছু তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তাঁদের দিকে এগিয়ে যেতেই শুরু হয় হাতাহাতি৷ কয়েকজন বিজেপি বিধায়ককে মাটিতে পড়ে থাকতেও দেখা যায়৷ মনোজ টিগ্গার অভিযোগ, তাঁর উপর হামলা চালিয়ে জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে৷ 

শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, সংসদীয় গণতন্ত্রে যখন বিধানসভা বা সংসদীয় অধিবেশন চলে তখন রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকার তাদের কোনও সিদ্ধান্ত অধিবেশন কক্ষের বাইরে ঘোষণা করতে পারে না৷ কিন্তু রামপুরহাটের ঘটনায় সিট গঠন থেকে ক্ষতিপূরণ, সমস্ত সরকারি সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভার বাইরে ঘোষণা করেছেন৷ সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সেই রীতি নেই৷ কেন এমনটা করা হল, সরকারকে তার জবাব দিতে হবে৷ 

এ প্রসঙ্গে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি বিধায়কদের উদ্দেশে বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে বিজেপি’র পরিষদীয় দল বিধানসভায় আসছে৷ বিধানসভার কোনও কর্মসূচিতেই তাঁরা অংশ নিচ্ছেন না৷  আপনারা শুধু বিক্ষোভ, চিৎকার-চেঁচামেচি আর ওয়াকআউট করেন৷ আপনারা হঠাৎ আজ বিধানসভার ভিতরে দাঁড়িয়ে এসব বলছেন কেন? অধ্যক্ষ আরও বলেন, ‘আপনারা যদি বিধানসভায় অংশ নিতেন, সহযোগিতা করতেন, তাহলে আপনাদের বক্তব্যের একটা মর্মার্থ দাঁড়াত৷ কিন্তু, আপনারা তা না করে প্রতিদিন চিৎকার করে ওয়াকআইট করছেন৷ অধিবেশনের শেষ দিনে এসে আপনাদের এসব কথা মনে হল?’’ এর পরেই বিক্ষোভ করে ফের ওয়াক আউট করেন বিরোধী বিধায়করা৷ 

বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু বলেন, পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলার অবস্থা বেহাল৷ গোটা বাংলা জ্বলছে৷ আমরা এ নিয়ে আলোচনা চেয়েছিলাম৷ রামপুরহাট গণহত্যার পর বসিরহাটে ১১ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে৷ বলা হয়েছিল, হাউজের সব কাজ বন্ধ করে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা করা হোক৷ কিন্তু, অধ্যক্ষ কোনও কথা শুনতে নারাজ৷ পুলিশ মন্ত্রীও হাইজে এসে রামপুরহাট নিয়ে একটি বাক্যও খরচ করেননি৷