নয়াদিল্লি: তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাকের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে৷ আই-প্যাকের সঙ্গে শাসক দলের সম্পর্ক নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি৷ এরই মধ্যে মাদক-কাণ্ডে জড়াল আইপ্যাকের এক কর্মীর নাম৷ তাঁকে গ্রেফতার করতেই বিতর্কে পিকে’র সংস্থা৷
আরও পড়ুন- সংক্রমণ ৫০ হাজারের ঘরে, সুস্থতা নিয়েও স্বস্তি বাড়ল দেশে
গোপনসূত্রে খবর পেয়ে শনিবার গোয়ায় আইপ্যাকের ভাড়া নেওয়া একটি বাড়িতে হানা দেয় পোখরিমের পুলিশ। তল্লাশি চালানোর পর ওই বাড়ি থেকে আইপ্যাকের এক কর্মীকে মাদক-পদার্থ সহ গ্রেফতার করে পুলিশ৷ এদিকে সামনেই গোয়ায় বিধানসভা ভোট৷ সে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী রণকৌশলের দায়িত্ব রয়েছে আইপ্যাক৷ গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে, আইপ্যাকের কিছু কর্মী স্থানীয় ভোটারদের টাকা পয়সা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা চালাচ্ছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ আইপ্যাকের কর্মীদের ভাড়া নেওয়া বাড়িতে হানা দেয়৷ সেই সময়েই সেখান থেকে মাদক পদার্থ উদ্ধার করে পুলিশ৷ সেটি সম্ভবত গাঁজা বলেই মনে করা হচ্ছে৷ এর পরেই নারকোটিক ড্রাগস এবং সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্স আইনে মামলা রুজু করা হয়।
উল্লেখ্য, আইপ্যাক তৃণমূলের সঙ্গে বাংলা, ত্রিপুরা আর মেঘালয়ে কাজ করবে না বলে জানিয়েছে৷ যার জবাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন ‘থ্যাঙ্ক ইউ’৷ এই তিন রাজ্যে সম্পর্ক খাদের কিনারে পৌঁছলেও গোয়ায় এখনও তৃণমূলের হয়েই কাজ করছে আইপ্যাক৷