মুম্বই: গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির। আহমেদাবাদ থেকে মুম্বই ফিরছিলেন সাইরাস। মহারাষ্ট্রের পালঘর হাইওয়েতে ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে তাঁর গাড়ি উলটে যায়। তাতে প্রয়াত হন তিনি। জানা গিয়েছে, ঘণ্টায় প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার বেগে চলছিল তাঁর গাড়ি! যাত্রীরা কেউই সিটবেল্ট পড়েননি। সাইরাসের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গেল, মাথায় গুরুতর আঘাতের কারণেই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তাঁর। একই কারণে মৃত্যু তাঁর বন্ধু জাহাঙ্গির পাণ্ডোলের। মঙ্গলবার মুম্বইয়ে সাইরাস মিস্ত্রির শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন- মাছের বাজারে আগুন! আকাশ ছোঁয়া সবজি, ২০০ টাকা পাড় আমুদির দর
টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, মাথায় গুরুতর আঘাত ও একাধিক বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে আঘাত ছিল তাঁর। একই রকম অবস্থা ছিল তাঁর বন্ধু জাহাঙ্গিরেরও। রিপোর্ট অনুযায়ী, আঘাত লাগার পর মাথায় ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়েছিল সাইরাসের, বুকেও গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, পালঘরের চারোটি চেকপোস্ট পেরিয়ে পরের ২০ কিলোমিটার মাত্র ন’মিনিটে অতিক্রম করেছিল টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির গাড়ি। দুর্ঘটনার সময় গাড়ির পিছনের সিটে বসে ছিলেন সাইরাস এবং বন্ধু জাহাঙ্গীর পান্ডোলে। কেউই সিটবেল্ট পরেননি। তাঁরা দুজন ছাড়াও সাইরাসের বন্ধু দারিয়াস পান্ডোলে এবং তাঁর স্ত্রী অনাহিতা পান্ডোলে ছিলেন গাড়িতে। অনাহিতাই গাড়ি চালাচ্ছিলেন।
২০১২ সালে টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান পদ থেকে রতন টাটা সরে যান। সেই বছরই দায়িত্বে আসেন সাইরাস মিস্ত্রি। ২০১৬ সাল পর্যন্ত সাইরাস ছিলেন টাটা সন্সের চেয়ারম্যান। সেই সময়ে টাটা সন্সের সবচেয়ে বেশি শেয়ারও ছিল তাঁর হাতে। তবে পরবর্তী সময়ে টাটা সন্স বোর্ড তাঁকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেয়। এই সিদ্ধান্ত মানতে রাজি ছিলেন না সাইরাস। এই ইস্যু নিয়েই আদালতে সংঘাতে জড়াতে দেখা গিয়েছিল টাটা এবং সাইরাসকে।