নয়াদিল্লি: বাংলার আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে অনেক আগে থেকে আওয়াজ তুলেছে বিজেপি। ২০২১ বিধানসভা ভোটের আগে থেকে এই মুহূর্ত পর্যন্ত সেই নিয়েও সরব তারা। এর মাঝে বিক্ষিপ্তভাবে অনেক ঘটনা ঘটে গিয়েছে রাজ্যে। পরপর ঘটনাগুলিতে সিবিআই তদন্ত চলছে। এই ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে আজ সংসদে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বাংলার প্রসঙ্গ টেনে আনেন এবং বলেন, ‘বাংলায় গেলে মরতে হবে’।
আরও পড়ুন- এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারতের নীতি বিজেপির, প্রতিষ্ঠা দিবসে ‘নমো’
কেরলে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে এদিন বক্তব্য রাখেন শাহ। সেই সময় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। কেরলের সাংসদের তরফে দাবি করা হয় যে তিনি ভুল তথ্য দিচ্ছেন। যদিও নিজের বক্তব্যে অনড় ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই কথা বলতে বলতেই তিনি সঞ্জয় সিংয়ের প্রশ্নের উল্লেখ করেন। গুজরাতে মামলা দায়ের করা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, তিনি জানেন না গুজরাতে কোনও এফআইআর হয়েছে কিনা, কিছু করলে হবে। কিন্তু বাংলায় গেলে তো প্রাণ চলে যাবে। অমিতের কটাক্ষ, ভালো হয়েছে সেখানে তিনি যাননি। অমিতের এই মন্তব্যের পরেই তেড়েফুঁড়ে ওঠেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদরা। যদিও তাতে বিশেষ পাত্তা দেননি শাহ।
এরপরে বাংলায় বিজেপির ওপর কী হামলা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিতে থাকেন অমিত শাহ। মনে করিয়ে দেন, তাঁর রোড-শোর কথা, জে পি নাড্ডার কনভয়ের ওপর হামলার কথা। তিনি জানান, এই নিয়ে কথা বলার কোনও অধিকার নেই তৃণমূলের। সব রেকর্ড আছে। এরপরেই শাহ মন্তব্য করে ফেলেন যে, তিনি বেশি টিপ্পুনি করবেন না কারণ ওদিকে টিভিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব দেখেন, সেখান থেকে তিনি আবার সরব হবেন। তবে তিনি এটা বলেন যে, ‘ফ্যাসিস্ট’ শব্দের ব্যাখ্যা পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখন বদলে দিয়েছে। তারা নতুন সংজ্ঞা লিখেছে। যদিও তৃণমূল সাংসদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম তোলা হয়েছে বলে বিরাট প্রতিবাদ শুরু করেন। তখন অমিত শাহ তাঁর নাম ফিরিয়ে নেন।