নয়াদিল্লি: আজ বিজেপির ‘জন্মদিন’। ৪২ বছর পার করে ৪৩-এ পা দিল ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। এই উপলক্ষ্যে আজ বক্তব্য রাখেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বক্তৃতায় একদিকে যেমন দলের প্রশংসা করেছেন তিনি, অন্যদিকে নাম না করে একহাত নিয়েছেন কংগ্রেস শিবিরকেও। একই সঙ্গে মোদী জানালেন, বিজেপির কর্মীরা দেশের স্বপ্নের প্রতিনিধি।
আরও পড়ুন- দুষ্কৃতী হামলায় শোরগোল পুরীর মন্দিরে! তছনছ রান্নাঘর, ক্ষতিগ্রস্ত ‘চুল্লা’
এদিন বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবসে ভাষণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, দেশে এখন দুই ধরণের রাজনীতি হচ্ছে, পরিবারবাদী এবং রাষ্ট্রবাদী। কিছু রাজনৈতিক দল পরিবারের জন্য কাজ করে বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। পাশাপাশি জানিয়েছেন, বিজেপি পরিবারবাদের বিরুদ্ধে রয়েছে এবং পরিবারবাদী সরকারকে গণতন্ত্রের শত্রু বলেই মনে করে। এই প্রেক্ষিতেই তাঁর বক্তব্য, বিজেপি দেশের হয়ে, দেশের মানুষের হয়ে কাজ করে। বিজেপির কর্মীরা দেশের স্বপ্নের প্রতিনিধি। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, কচ্ছ থেকে কোহিমা পর্যন্ত বিজেপি এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারতের নীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য তাঁর। মোদীর কথায়, দেশ বদলাচ্ছে, আর এই বদলে বড় ভূমিকা পালন করছে বিজেপি পার্টি। ইতিমধ্যেই দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি জেপি নাড্ডা জানিয়ে দিয়েছেন যে, এবার বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্য ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত পালন করা হবে। রাজ্যে রাজ্যে নানা কর্মসূচির আয়োজন করবে স্থানীয় পদ্ম-শিবির। সব মিলিয়ে বড় ভাবনা-চিন্তা নিয়েছে দল।
রাজনৈতিক দল হিসেবে ১৯৮০ সালে আত্মপ্রকাশ করেছিল বিজেপি। ১৯৮৪ সালের লোকসভা ভোটে মাত্র ২ টি আসন পেয়েছিল তারা। ১৯৮৯ সালে সেই আসন গিয়ে দাঁড়ায় ৮৪-তে। এরপর ১৯৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতা পায় বিজেপি সরকার। কিন্তু ১৩ দিন টিকেছিল তারা। ঠিক দু’বছর পর ১৯৯৮ সালে আবার ক্ষমতায় আসে বিজেপি। সেই সময় ১৩ মাস কেন্দ্রে ছিল তারা। ১৯৯৯ সালে আবার ক্ষমতা হাতে পাওয়ার পর ২০০৪ সালে কংগ্রেসের কাছে হেরে যায় তারা। দীর্ঘ সময়ের পর ২০১৪ সালে ‘কামব্যাক’ করে বিজেপি। বাকিটা ইতিহাস।